সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক লাস ভেগাসের কায়দাতেই এবার সন্ত্রাস হামলা হবে কুম্ভমেলায়। পুণ্যার্থীদের ভিড়ে ঠাসা মেলার মধ্যে লোন উলফ হামলা চালিয়ে নাশকতা ছড়ানোর ছক ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর। এক অডিও বার্তায় কুম্ভ মেলা-সহ গোটা ভারতকে সন্ত্রাসদীর্ণ করে তোলার হুমকি দিল জঙ্গি সংগঠনটি।
[ ভক্তদের থেকে বকশিশ দাবি, তিরুপতি মন্দিরের ২৪৩ জন ক্ষৌরকারকে ছাঁটাই ]
আফগানিস্তান থেকেই এসেছে এই অডিও বার্তা। যেখানে পুরুষকণ্ঠে ভয়াবহ হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। দশ মিনিটের অডিও বার্তায় প্রথমে কোরানের অংশ পাঠ করা হয়েছে। তারপরই জেহাদের নামে সন্ত্রাস হামলার প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। লাস ভেগাসের কায়দাতেই কুম্ভ মেলা বা কেরলরে ত্রিশূর পুরমের মতো উৎসবে পুণ্যার্থীদের হত্যা করতে উজ্জীবিত করা হয়েছে সমর্থকদের। দিন কয়েক আগে লাস ভেগাসে এক মিউজিক কনসার্ট চলাকালীন এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে বহু মানুষকে হত্যা করেছিল এক আত্মাঘাতী জঙ্গি। সেই একই ছক ফিরিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে এই বার্তায়। জঙ্গি গোষ্ঠীর সমর্থকদের বেশ কয়েকটি কায়দা বাতলানো হয়েছে। যেমন খাবারে বিষ মিশিয়ে দেওয়া, বা ভিড়ের মধ্যে ট্রাক চালিয়ে দেওয়া। পাশাপাশি অন্তত ছুরি বা এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েও অনেককে হত্যা করার কথা বলা হয়েছে।
[ ‘সেক্স টেপ’-এর পর মদ্যপানের ছবি, ফের বিতর্কে হার্দিক ]
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, পুরুষ কণ্ঠটি রশিদ আবদুল্লার। ভারত ছেড়ে আফগানিস্তানে পালিয়ে সে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দিয়েছিল। এবার দেশের মাটিতেই বড়সড় হামলার পরিকল্পনা তার। ইতিমধ্যে হোয়্যাটসঅ্যাপ ও অন্যান্য মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রায় শ-চারেক অডিও বার্তা সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটি শুনে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবদুল্লার নামে ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছিল এনআইএ। ইন্টারপোল রেড নোটিসও জারি আছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু দেশের বাইরে বসেই দেশের মাটিতে রক্ত ঝরানোর ছক কষছে ওই জঙ্গি।
[ ‘গরু মা বটে তবে পিরিয়ড হয় না’, জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে কটাক্ষ আপ নেত্রীর ]
গোটা বিশ্বেই এই কায়দায় ‘লোন উলফ’ হামলা চালাচ্ছে আই এস জঙ্গিরা। মিউজিক কনসার্ট থেকে মেলা-যেখানেই সাধারণ মানুষের ভিড়, সেখানে হয় গাড়ি পিষে দিচ্ছে মানুষকে। নয়তো চালানো হচ্ছে গুলি। সুতরাং যে ছকে হামলার কথা বলা হচ্ছে তা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। ইতমধ্যেই কেরালা পুলিশ-সহ দেশের গোয়েন্দারা তদন্ত শুরু করেছেন। নিরাপত্তার দিক থেকে সবরকম সতর্কতার ব্যবস্থা এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে।