Advertisement
Advertisement

আরও অসুস্থ করুণানিধি, আগামী ২৪ ঘণ্টা রাখা হবে কড়া নজরে

ভিড় জমতে শুরু করেছে হাসপাতালের সামনে৷

M Karunanidhi has suffered a
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 6, 2018 8:27 pm
  • Updated:August 6, 2018 8:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরও অসুস্থ ডিএমকে প্রধান এম করুণানিধি৷ সোমবার বিকাল থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়৷ কাবেরী হাসপাতালে তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেন তাঁর জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা৷ প্রকাশ করা হয় মেডিক্যাল বুলেটিন৷ সূত্রের খবর, নবতিপর এই নেতার বেশ কয়েকটি অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে৷ ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টা কড়া নজরে রাখা হবে তাঁকে৷ তাঁদের ‘থালাইভা’র শারীরিক অবস্থার অবনতির খবর ছড়িয়ে পড়তেই হাসপাতালের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন অনেক ডিএমকে নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা৷

রক্তচাপ কমে যাওয়ায় গত ২৮ জুলাই কাবেরী হাসপাতালে ভরতি হন ৯৪ বছরের এই প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ এরপর থেকে কখনও তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে কখনও অবনতি৷ ইতিমধ্যে হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখে এসেছেন দেশের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতারা৷ ডিএমকে প্রধানকে দেখতে গিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ড়ু, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ প্রভু, অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ড়ু, কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া ও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধি৷

Advertisement

[কোথায় জন্মেছেন বিপ্লব দেব? মুখ্যমন্ত্রীর উইকিপিডিয়া ঘিরে বিতর্ক]

Advertisement

এম করুণানিধি যখন রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তখন তাঁর বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর৷ নিজের এলাকাতেই তাঁর বয়সি বা তাঁর থেকে একটু বড় যুবদের নিয়ে সংগঠন তৈরি করেন৷ ছোটবেলা থেকেই তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার যে অদম্য শক্তি ছিল সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশিত হতে থাকে৷ ধীরে ধীরে রাজনীতিই হয়ে ওঠে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান৷ এহেন মনোবল ও সাংগঠনিক ক্ষমতার জোরেই দক্ষিণী ছবির চিত্রনাট্যকার এম করুণানিধি হয়ে ওঠেন ডিএমকে’র শীর্ষ নেতা৷ দীর্ঘ অর্ধ শতক বা পঞ্চাশ বছর ধরে এখনও যিনি দাক্ষিণাত্যের রাজনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে রয়েছেন৷

[বুমেরাং নীতীন গড়কড়ির মন্তব্য, টুইট বার্তায় বিজেপি সরকারকে তোপ রাহুলের]

কালো চশমা ও হলুদ শাল, নিজস্ব স্টাইলেই দেশবাসীর কাছে পরিচিত এম করুণানিধি৷ ভারতীয় রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে একাধিক ওঠাপড়া দেখেছেন তিনি৷ প্রখ্যাত দক্ষিণী অভিনেতা তথা বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এমজি রামাচন্দ্রণের দল এআইএডিএমকে’র কাছে ১৯৯১-এর নির্বাচনে পরাজিত হয়েও ৯৬-তে আবারও নিজ শক্তিতে ফিরে আসেন তিনি৷ ২০০১-তে একইভাবে তাঁর দলকে পরাজিত করেন এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা৷ কিন্তু রাজনীতির আঙিনায় পোড় খাওয়া খেলোয়াড় আবার কামব্যাক করেন ২০০৬-তে৷ ২০১৬-র তামিলনাড়ু নির্বাচনে লড়েও জয় লাভ করেন এই নবতিপর রাজনৈতিক নেতা৷ বার্ধক্যজনিত কারণে দলের রাশ অনেকটাই ছেলে স্তালিন ও মেয়ে কানিমোঝির হাতে তুলে দেন তিনি৷ তবে রাজনৈতিক জীবনের অর্ধ শতাব্দী পরেও একই ভাবে ভারতীয় রাজনীতির আঙিনায় হয়ে রয়েছেন সমান প্রাসঙ্গিক৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ