Advertisement
Advertisement

ISIS আদর্শে বিশ্বাসী মাদ্রাসা, দেশ থেকে তুলে দেওয়ার আবেদন ওয়াসিম রিজভির

আইএস জঙ্গিরা সব সময় বাচ্চাদের টার্গেট করে।

Madrasa board support ISIS ideology
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:January 22, 2019 3:15 pm
  • Updated:January 22, 2019 3:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইসিস জঙ্গি সংগঠনের আদর্শে বিশ্বাসী মাদ্রাসা বোর্ডগুলো। তাই অবিলম্বে এই বোর্ড তুলে দেওয়া হোক। না হলে দেশের সব মাদ্রাসা ছাত্রছাত্রীরা আইএস হয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই আবেদন করলেন উত্তরপ্রদেশ শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান ওয়াসিম রিজভি।

[অমরনাথ হামলায় জড়িত কাশ্মীরি বিধায়ক, বিস্ফোরক দাবি এনআইএ-র]

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখে রিজভি জানান, গোটা দেশে ইসলামিক সেমিনার এখনই বন্ধ করে দেওয়া উচিত। না হলে মুসলিম ছাত্রছাত্রীরা এর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ভুলপথে চালিত হবে। তিনি চিঠিতে লেখেন, “যদি মাদ্রাসা বন্ধ করা না হয়, আগামী ১৫ বছরে দেশের অর্ধেক মুসলিম আইসিসদের আদর্শে বিশ্বাস করতে শুরু করবে। গোটা বিশ্বে দেখা গিয়েছে, আইসিসরা নতুন টিম বানানোর জন্য সব দেশের বাচ্চাদেরই টার্গেট করে। তাদের নিজেদের আদর্শে বিশ্বাসী করানোর ছুতো খোঁজে।”

Advertisement

[ভোটের আগে নয়া চমক, এবার হিন্দু সাধুদের পেনশন দেবে যোগী সরকার]

উত্তরপ্রদেশের শিয়া ওয়াকফ বোর্ডের প্রধান জানালেন, দেশের অন্য ধর্মের বাচ্চারা যেখানে পড়াশোনা করে, সেখানেই পড়া উচিত বাকি মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের। তাঁর এই মন্তব্যে মুসলিম ধর্মগুরু ও মাদ্রাসা সংগঠনগুলো ভালভাবে নেয়নি। এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয় প্রকাশ্যে আসায় মাদ্রাসার পড়াশোনা নিয়ে ফের প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়ে গেল। প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “কাশ্মীরেও এরকম বিরাট পরিমাণে আইসিস সমর্থক দেখা যায়। গ্রামীণ এলাকায় দেশের মুসলিম ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে মাদ্রাসা বোর্ডগুলো। মানুষের কাছে টাকা নিয়ে এসব কুকীর্তি করছে মাদ্রাজাগুলো।” মাত্র কয়েকদিন আগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আইসিসের সঙ্গে যোগ পাওয়ায় গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। লুধিয়ানার এক মসজিদ থেকে ধরা হয় তাকে। মাসচারেক আগে উত্তরপ্রদেশের রামপুরের একটি মাদ্রাসা স্কুলে পড়াতে আসেন। তার সঙ্গে আইসিস জঙ্গিদের যোগাযোগ আছে বলে সন্দেহ হয় এনআইএ-র। সেখান থেকেই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। এর আগেও বিভিন্ন জঙ্গিযোগে সামনে এসেছে মাদ্রাসা বোর্ডের ছাত্রছাত্রী বা শিক্ষকরা। তারফলে এই চিঠি দেওয়ার পর এই প্রশ্নগুলো আরও জোরালো হচ্ছে।    

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ