সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথায় বলে বিয়ে নাকি ‘দিল্লি কা লাড্ডু’। কেউ না খেয়ে পস্তান, কেউ আবার খেয়ে পস্তান। কিন্তু এমন মানুষও এ ভূ-ভারতে রয়েছেন যাঁরা এই ‘লাড্ডু’ বেশ তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেন। তাও আবার একবার নয়, একাধিকবার। রক্ষক হিসেবে যাঁর পরিচিতি, তিনিই ঘটিয়েছেন এমন কাণ্ড। ২৪ বছরে সাতটি বিয়ে করার অভিযোগ উঠল মুম্বই পুলিশের কনস্টেবলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন এক প্রচিতা নামে এক মহিলা। যিনি নিজেকে কনস্টেবলের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেছেন।
[জিএসটি-র প্রতিবাদে মোদিকে ১০০০ স্যানিটারি ন্যাপকিন পাঠাবেন ছাত্রীরা]
কল্যাণ এলাকায় মানপাড়া থানায় দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করেন সূর্যকান্ত কদম। তাঁর এমন কীর্তি এতদিন কেউ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি সহকর্মীরা। কিছুদিন আগেই প্রচিতা নামে ওই মহিলা এসে নিজেকে কদমের স্ত্রী হিসেবে দাবি করেন। আর ‘স্বামী’র বিরুদ্ধেই বহুবিবাহের অভিযোগ আনেন উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকের কাছে। প্রচিতার কথায়, ১৯৮৬ সালে প্রথম বিবাহ করেন কদম। কদমের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় ১৯৯১ সালে। পেশায় নার্স প্রচিতা। এক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আনতে গিয়েই কদমের সঙ্গে দেখা হয় তাঁর। পুলিশ কনস্টেবল নিজেকে ডিভোর্সি হিসেবে পরিচয় দেন। প্রচিতাও ডিভোর্সি ছিলেন। অচিরেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ১৯৯২ সালে বিয়েও হয়। দুই সন্তানও রয়েছে।
[সাবধান! আধার যোগেই ফাঁস হচ্ছে আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খুঁটিনাটি]
এর মধ্যেই প্রচিতা জানতে পারেন দু’টি নয় অন্তত সাতটি বিয়ে এভাবে করেছেন কদম। প্রত্যেকেই আবার থানে এলাকারই বাসিন্দা। ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা বিয়ে করে গিয়েছেন তিনি। সাত স্ত্রীর মধ্যে আবার দুই জনের মৃত্যুও হয়েছে এই সময়ের মধ্যে। কিন্তু পুলিশকর্মী হয়ে এমন কাজ কেন করলেন কদম? প্রচিতাই বা এতদিন চুপ ছিলেন কেন? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর মুম্বই পুলিশের অজানা। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ততদিন পর্যন্ত সাসপেন্ড করা হয়েছে সূর্যকান্তকে।
[‘ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার নয়, মাদ্রাসায় তৈরি হয় সন্ত্রাসবাদী’]