সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মন্দির চত্বরের কুয়ো থেকে উদ্ধার হল হাজার খানেক বস্তাবন্দি আধার কার্ড। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের ইয়াভাতামাল জেলার শিন্দে নগরের সাঁই মন্দির চত্বরে। গরম শুরু হতে না হতেই পানীয় জলের সমস্যায় জেরবার মহারাষ্ট্রের বৃহদাংশ। তাই সরকারি উদ্যোগে পরিত্যক্ত কুয়োগুলিকে সাফসুতরো করার কাজ চলছিল। এমনই একটা কুয়ো থেকে আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নাইলনের বস্তা দেখতে পায় পাড়ার ছেলেরা। ভারী বস্তা খুলতেই বেরিয়ে আসে আধার কার্ডের গোছা ও পাথরের বড়সড় টুকরো। মজার বিষয় হল, উদ্ধার হওয়া আধার কার্ড গুলি আসল। প্রায় প্রত্যেকটি আধার কার্ডের তথ্যগুলি পড়া যাচ্ছে। তবে আংশিকভাবে নষ্টও হয়েছে আধার কার্ড। একসঙ্গে এতগুলি আধার কার্ড উদ্ধার হওয়াকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর গিয়েছে নিকটবর্তী থানায়।
[প্রতিরক্ষা বাজেটে খুশি নয় দেশের সেনাবাহিনী, থমকে যেতে পারে আধুনিকীকরণ]
এদিকে আসল আধার কার্ড উদ্ধারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে ইয়াভাতামাল জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমৃদ্ধ আধার কার্ডের এহেন হাল দেখে ক্ষিপ্ত হয়েছেন জেলাশাসক রাজেশ দেশমুখ। জানিয়েছেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। রাজস্ব বিভাগের কোন আধিকারিকের দায়িত্বে সংশ্লিষ্ট আধার কার্ডগুলি ছিল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একই সঙ্গে ডাক বিভাগেও চলছে খোঁজখবর। ইতিমধ্যেই স্থানীয় তহসিলদার শচীন সেজলকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘তদন্তে কারও গাফিলতি প্রমাণিত হলে দোষীদের রেহাই দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, পানীয় জলের সমস্যায় দিশেহারা ইয়াভাতামাল জেলা প্রশাসন। ইতিমধ্যেই পানীয়জল সমস্যা সমাধানে জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন মহিলারা। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্মাণ সংস্থাগুলির জল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্যক্তিগত পরিত্যক্ত কুয়োগুলিকে সাফসুতরো করার জন্য পুরসভাতেও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। এইকাজে জেলা প্রশাসনের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সংস্থার কর্মীরাই কুয়োগুলি পরিষ্কার করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। পানীয় জল সংরক্ষণের জন্য জেলা জুড়েই চলছে কুয়ো পরিষ্কারের কাজ। লোহারা গ্রাম লাগোয়া সাঁইবাবার মন্দির চত্বরেও এমন একটি কুয়ো রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সেই কুয়োতে জল রাখা হয় না। সকাল সকাল স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল কুয়ো পরিষ্কারে নামে। জঞ্জাল সরাতে গিয়েই একটু বন্ধ মুখের নাইলনের বস্তা দেখতে পায়। কুয়ো থেকে তুলে বস্তার মুখ খুলতেই বেরিয়ে আসে শয়ে শয়ে আধার কার্ড। এই দৃশ্য দেখেই উপস্থিত সকলের চক্ষু চড়কগাছ। গুরুত্বপূর্ণ আধার কার্ডের এই হাল দেখে প্রশ্নও উঠছে।