সুব্রত বিশ্বাস: এক যাত্রীর কাছ থেকে পঞ্চাশ লক্ষ টাকার সোনার অলংকার-সহ পঁচিশ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করল নয়াদিল্লি স্টেশন পোস্টের আরপিএফ। বমাল ধৃত যাত্রীকে শুক্রবার আয়কর বিভাগ হেফাজতে নেয়।
জানা গিয়েছে, করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশনে বিশেষ চেকিং চলছিল। আজমেরি গেটের দিকের ফুট ওভারব্রিজের পাশে যাত্রী প্রজাপতি অতুলভাইকে সন্দেহজনক ভাবে দাঁড়িয়ে পড়তে দেখেন হালদার আরপিএফ কর্মীরা। সন্দেহ হওয়ায় তাঁর ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। বারোটি পার্সেল ব্যাগ থেকে বেরিয়ে পড়ে সোনার অলংকার। ইনার জ্যাকেট থেকে আরও সাতটি পার্সেল প্যাকেটে রাখা হিরে খচিত সোনার অলংকার-সহ নগদ পঁচিশ লক্ষ টাকা পাওয়া যায়। এরপরে উপযুক্ত নথি দেখাতে না পারায় আরপিএফ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। নয়াদিল্লি স্টেশন পোস্টের আরপিএফ ইন্সপেক্টর দেবেশ দীক্ষিত জানিয়েছেন, ধৃত যাত্রীর আমেদাবাদগামী রাজধানী ধরার কথা ছিল। বৈধ টিকিটও রয়েছে তা কাছে। বার্থ বি/১০-৪৯। তবে অলঙ্কারের কোনও নথি দেখতে না পারায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে প্রথমে কাস্টমস বিভাগকে দিয়ে পরীক্ষা করানো হয় সেগুলি চোরাই সামগ্রী কি না। এরপর নগদ পঁচিশ লক্ষ টাকার নথি না থাকায় আয়কর বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। তারাই বমাল ধৃতকে হেফাজতে নেয় তদন্তের জন্য।
করোনা আতঙ্কে ট্রেন চলাচল একেবারে সীমিত। চলছে পার্সেল ভ্যান। সাধারণ মানুষের চিন্তা পরিস্থিতি নিয়ে। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে দুর্বৃত্তরা বলে আরপিএফ মহলের ধারণা। ভুয়ো তথ্য দিয়ে পার্সেলে যাচ্ছে বহু বেআইনি সমগ্রী। কারন, প্যাকিং পণ্য যাচাইয়ের সুযোগ নেই। পার্টির দেওয়া তথ্যতেই পণ্য বুকিং হয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ভুয়া নামেই চলে যাচ্ছে বেআইনি সামগ্রী বলে আরপিএফ কর্মীদের একাংশের মত। হার মধ্যে বেশি বেআইনি কাফ সিরাপ, অস্ত্র, যন্ত্রাংশ, সোনা-রূপার সামগ্রী। কর ফাঁকি দেওয়া থেকে পুলিশের নজরদারি এড়াতে রেলের পার্সেলকে ব্যবহার করে পাচারকারীরা বলে আরপিএফের ধারণা। এই কাজে এক শ্রেণীর রেলকর্মীদের সহযোগিতাও রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.