সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুসলিম ব্যক্তির সঙ্গে হিন্দু ধর্মের পাতানো বোনের সম্পর্কের কথা গোপন রাখতেই আফরাজুলকে নৃশংসভাবে খুন করেছিল শম্ভুলাল। রাজস্থানে বাংলার শ্রমিক খুনে পুলিশের চার্জশিটে এমন তথ্যই নথিভুক্ত করা হল। যা ইতিমধ্যেই পেশ করা হয়েছে আদালতে।
মাত্র কয়েক সেকেন্ডের ভিডিও। গত ৬ ডিসেম্বর যা দেখে শিউরে উঠেছিল দেশবাসী। গাঁইতি দিয়ে লাগাতার কোপানো হয়েছিল আফরাজুলকে। শরীরে প্রাণ যাতে একটুও না থাকে, নিশ্চিত করতে পেট্রল ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল মালদার প্রৌঢ়কে। সেই দৃশ্য আবার ক্যামেরাবন্দি করেছিল হত্যাকারীরই এক আত্মীয়. বর্বরোচিত ঘটনাকে ‘লাভ জেহাদ’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আফরাজুল যে এমন কাজ করতে পারেন না। মালদহের বাড়ি থেকে এমনই জোরালো দাবি তোলেন স্ত্রী-কন্যারা। ভিডিও দেখে ক্ষোভে ফুঁসছিলেন তাঁরা। দাবি করেন অভিযুক্তর ফাঁসি। শুধু তাই নয়, আফরাজুলের সঙ্গে এমন কোনও সম্পর্ক কথা অস্বীকার করেছিলেন স্বয়ং ওই হিন্দু যুবতীও। আসলে পশ্চিমবঙ্গের অনেক মানুষকেই রাজস্থানের কর্মসংস্থানে সাহায্য করেছিলেন আফরাজুল। আর সেই কারণেই তিনি শম্ভুলালের চক্ষুশূল হয়ে উঠেছিলেন বলে সন্দেহ পুলিশের।
গত শুক্রবার রাজসামান্দ আদালতের প্রধান বিচারপতির কাছে চার্জশিট জমা করে পুলিশ। সেই চার্জশিটেই ধর্মের নামে সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭০ ধারায় অপরাধ করেছে ৩৬ বছরের শম্ভুলাল রেগার। হিন্দু বোনের সম্পর্ক গোপন রাখতেই আফরাজুলকে খুন করে সে। এর পাশাপাশি খুন, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানো ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগেরও উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটে। রাজসামান্দের এসপি মনোজ কুমার জানিয়েছেন, আগামী ১৭ জানুয়ারি মামলার শুনানি। উল্লেখ্য পুলিশের কাছে নাকি শম্ভু স্বীকার করেছিল ভুল করেই আফরাজুলকে খুন করেছে সে। তার টার্গেট অন্য কেউ ছিল। এবার আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে মামলা কোন দিকে এগোয়, সেদিকেই তাকিয়ে আফরাজুলের পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.