সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রদ্ধা ওয়ালকারকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করেছিল লিভ ইন পার্টনার আফতাব পুনাওয়ালা। দেহাংশ ফেলে এসেছিল জঙ্গলে। সেই নৃশংস ঘটনায় শিউড়ে উঠেছিল দেশ। এবার প্রায় একই ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের ভোপালে। লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে ৮ মাস ধরে দেহ ফ্রিজে রেখে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক বিবাহিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত মহিলার নাম পিঙ্কি প্রজাপতি। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি সম্পর্কে ছিলেন অভিযুক্ত সঞ্জয় পাতিদারের সঙ্গে। মধ্যপ্রদেশের দেওয়াস এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি। গতকাল শুক্রবার সেই বাড়ির ফ্রিজ থেকেই উদ্ধার হয় পিঙ্কির পচাগলা দেহ। তাঁর পরনে শাড়ি, গয়না ছিল। হাত বাঁধা ছিল দড়ি দিয়ে। গত বছরের জুন মাসেই পিঙ্কিকে হত্যা করা হয়েছিল।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ জানিয়েছে, সঞ্জয় বিবাহিত। তাঁর বাড়ি উজ্জয়িনীতে। তিনি পিঙ্কির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। দেওয়াস অঞ্চলে বার ভাড়া নিয়ে দুজনে লিভ ইন করছিলেন। কিন্তু গত বছর বিয়ের জন্য চাপ দেন পিঙ্কি। বেঁকে বসেন সঞ্জয়। সেই নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত। যা চরম আকার নেয়। গত বছরের জুন মাসে পিঙ্কিকে খুন করে ফ্রিজে দেহ রেখে দেন অভিযুক্ত সঞ্জয়। এই কাজে সাহায্য করে তাঁর এক বন্ধুও। এরপর থেকে খুব কমই ওই বাড়িতে যেতেন সঞ্জয়।
সম্প্রতি, বাড়িওয়ালা বাড়ির ওই অংশটি খুলেছিলেন। তারপরে আবার তালা লাগিয়ে দেন। কারণ সঞ্জয়ের জিনিসপত্র ভিতরে ছিল। এরপর গত বুধবার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তারপরই দুর্গন্ধ বেরতে শুরু করলে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হয়। খবর দেওয়া স্থানীয় থানায়। তারপর পুলিশ এসে তল্লাশির পর দেহটি উদ্ধার করে। অভিযুক্ত সঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.