ছবি: প্রতীকী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজরাট ভোটের আগে গেরুয়া শিবিরের নয়া অস্বস্তি। প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যেই সবথেকে বেশি উদ্ধার হয়েছে ২ হাজার টাকার জাল নোট। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো এমনই রিপোর্ট দিয়েছে।
[এবার ছাত্রীদের জিন্স পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হল এই কলেজে]
নোট বাতিলের পরও দেশে জাল নোট কারবারির যে একইরকম সক্রিয় তা বুঝিয়ে দিল ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্ট। ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর নোট বাতিল হয়েছিল। রিপোর্ট বলছে এই সিদ্ধান্তের ৫৩ দিনের মধ্যে প্রথম জাল নোট বাজেয়াপ্ত হয়। মোদির এই ঘোষণার পর থেকে ২২৭২টি ২০০০ টাকার জাল নোট ধরা হয়। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি জাল নোট উদ্ধার হয়েছে গুজরাট থেকে। সংখ্যাটা ১৩০০। এর অনেক পিছনে পাঞ্জাব (৫৪৮), কর্ণাটক (২৫৪), তেলেঙ্গানা (১১৪) বা মহারাষ্ট্র (২৪)। কংগ্রেস অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করেছে গুজরাট ভোটে জাল নোট ব্যবহার হচ্ছে। এমনকী যথেচ্ছভাবে কালো টাকাকে সাদা করা হচ্ছে। ন্যাশনাল ক্রাইম ব্যুরো রেকর্ড রাহুল গান্ধীর গলার জোর আরও বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
[জামা মসজিদ আসলে যমুনা দেবীর মন্দির, বিজেপি নেতার দাবিতে বিতর্ক]
নোট বাতিলের সময় প্রধানমন্ত্রী রীতিমতো বড়াই করে বলেছিলেন এর ফলে কালো টাকায় রাশ টানা যাবে। সন্ত্রাসবাদীদের সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে যাবে। নোট বাতিলের এক বছরে স্পষ্ট নরেন্দ্র মোদির এই দাওয়াই কার্যত ব্যুমেরাং হয়েছে। ২০০০ টাকার নোট নকল করে অসাধু চক্র ক্ষান্ত হয়নি। কম অঙ্কের নোটও রীতিমতো জাল করা হচ্ছে।
নোটের অঙ্ক কতগুলি জাল
১০০ টাকা ৫৯,৭১৩
৫০ টাকা ২,১৩৭
২০ টাকা ১৮৪
১০ টাকার নোট ও কয়েন ৬১৫
৫ টাকা ২,০০১
১ টাকা ১৯৬
সব মিলিয়ে গত আর্থিক বছরে ১০ কোটি ১২ লক্ষ টাকার জাল নোট আটক হয়েছে। তবে সবথেকে বেশি অঙ্কের জাল নোট মিলেছে দিল্লিতে। অঙ্কটা ৫ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। তারপরই গুজরাট। সেখানে আটক ২ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। গোয়া সবার শেষে। এখানে মাত্র ২১টি জাল নোট পাওয়া যায়। ক্রাইম ব্যুরোর রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সিকিম, ছত্তিশগড়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ এবং কয়েকটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কোনও জাল নোট মেলেনি। সব মিলিয়ে জাল কারবারের দায়ে ধরা পড়েছে ১,১০৭ জন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.