সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশাল মিডিয়ায় আত্মপ্রচার করে চেম্বারে ভিড় বাড়াচ্ছেন অনেক চিকিৎসক। নজরে পড়তেই তা বন্ধ করে উদ্যোগী মেডিক্যাল কমিশন। সাফ জানানো হল, নিজেদের প্রচারের কাজে আর সোশাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে পারবেন না চিকিৎসকরা।
রোগীকে পাশে বসিয়ে তাঁকে দিয়ে নিজের সুখ্যাতি করাচ্ছেন ডাক্তারবাবু। এই ধরনের নানা ভিডিও আজকাল দেখা যায় ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম খুললেই। তা দেখে প্রভাবিত হয়ে চিকিৎসকের চেম্বারে ভিড় করেন বহু মানুষ। এসব দেখে সাধারণ মানুষ যাতে আর বিভ্রান্ত না হন, ভুল তথ্য না পান, তার জন্য কড়া পদক্ষেপ করল ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন। ডাক্তারদের সোশাল মিডিয়া ব্যবহার নিয়ে কমিশনের তরফে বেশ কিছু নির্দেশাবলি তৈরি করা হয়েছে।
১) কোনও ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন রোগী। ভিডিওতে ডাক্তারকে দেখা যাচ্ছে। এমন কনটেন্ট অনৈতিক বলে জানাল মেডিক্যাল কাউন্সিল।
২) সোশাল মিডিয়ায় ফলোয়ার কিনে নিজের খ্যাতি বাড়ানো চলবে না। নিজেকে ‘অ্যাকটিভ’ প্রমাণে সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল করতে এজেন্সি ব্যবহার করা চলবে না।
৩) রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকরা কোনও পণ্য, ওষুধ বা ডাক্তারি পরিষেবা, রোগ শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ার বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না।
৪) কোনও নির্দিষ্ট অপারেশন বা সিটি, পেট স্ক্যানের মতো টেস্টের প্রচার করাও নিষিদ্ধ।
৫) সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে রোগীকে সরাসরি বা পরোক্ষভাবে কোনও আর্জি জানানোকেও নিয়ম লঙ্ঘনের আওতায় ফেলা হবে।
৬) সোশাল মিডিয়ায় চিকিৎসকদের ডাক্তারির এথিকস মেনে চলতে হবে। খ্যাতি অর্জনের লোভে কোনওরকম প্রতারণার চেষ্টা করা চলবে না।
অভিযোগ, বহু সাধারণ মানের চিকিৎসক সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে ‘সাজানো ’রোগীর মুখ দিয়ে নিজেদের সম্পর্কে প্রচুর ভুয়ো তথ্য ছড়িয়ে দেন। নিজেকে বিশেষজ্ঞ জাহির করে অসাধু উপায়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎও করেন। এমনই তথাকথিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের হাত থেকে সাধারণ রোগীদের বাঁচাতেই মেডিক্যাল কমিশন এমন কড়া পদক্ষেপ নিল বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.