ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার পেট্রপণ্যতেও ধার্য হবে জিএসটি। এমনটাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। পেট্রলিয়ামজাত দ্রব্যগুলিকেও জিএসটি-র আওতায় আনতে এবার তোড়জোড় শুরু করেছে কেন্দ্র। তারই প্রাথমিক পদক্ষেপে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে এই প্রস্তাব আনবে কেন্দ্র। কেন্দ্রর সাফাই, উপভোক্তাদের স্বস্তি দিতেই পেট্রপণ্য গুলিকেও জিএসটি-র আওতায় আনার কথা ভাবা হচ্ছে।
শনিবার দশেরা পার্বণের পর প্রধান সংবাদমাধ্যমকে জানান, পেট্রলিয়ামজাত পণ্যগুলির মূল্য সামান্য নিয়ন্ত্রিত হলেই জিএসটি কাউন্সিলের কাছে প্রস্তাব পেশ করা হবে। তবে এর জন্য রাজ্য সরকারগুলির সহায়তা প্রয়োজন। উপভোক্তাদের স্বস্তি দিতেই এই পদক্ষেপ। এতো গেল জিএসটির কথা। কিন্তু এমন অবসরে প্রধানমন্ত্রী মোদির গুণ গাইতে ভোলেননি মন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এখন একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে দাঁড়িয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই রাবণ বধেরই শামিল বলে মত তাঁর। দেশ আরও উন্নতির পথে হাঁটছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু পরিসংখ্যান অন্য কথা বলছে। নোটবন্দি ও জিএসটি প্রচলনের সময় দেশের তামাম অর্থনীতিবিদদের আশঙ্কা ছিল, এই দুই জোড়া ফলায় দেশের অর্থনীতির গতিমুখ নিম্নগামী হতে পারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হয়েছে সম্প্রতি। জিডিপি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে সেন্ট্রাল স্ট্যাটিস্টিক অফিস বা সিএসও। প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমে হয়েছে ৫.৭ শতাংশ। এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকের এই হিসেব গত তিন বছরের তুলনায় সবথেকে কম। গত ত্রৈমাসিকে এই আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ আর্থিক বর্ষে এই পর্বে বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৯ শতাংশ। তথ্যই জানিয়ে দিচ্ছে, কতটা থমকে গিয়েছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, জিএসটি জালু হওয়ার আশঙ্কায় দেশের উৎপাদনের হারও কমেছে। পণ্য ও পরিষেবা কর দীর্ঘ মেয়াদে দেশের পক্ষে লাভজনকই হবে। কিন্তু যেভাবে ও যে দ্রুততায় তা দেশে চালু করা হয়েছে, তাতে অসন্তুষ্ট বহু অর্থনীতিবিদই। এমনকী জিএসটি রূপায়ণে যিনি গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়েছিলেন, সেই অমিত মিত্রও জানিয়েছিলেন, এভাবে জিএসটি রূপায়ণে ক্ষতিই হচ্ছে। বড় শিল্প থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্র- প্রভাব পড়েছে সর্বত্র। জিএসটি রূপায়ণের জন্য যে পরিকাঠামো দরকার তা এখনও দেশে নেই। ফলে ব্যাপক সমস্যায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঠিক তার আগেই নোট বাতিলের চোট গিয়েছে। দুয়ে মিলে একরকম দিশেহারা দেশের উৎপাদন ব্যবস্থা। এর প্রভাবই জিডিপি-তে পড়েছে বলে বিশ্বাস অর্থনীতিবিদদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.