সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সময়ে হোমওয়ার্ক করে আনেনি। তাই সহপাঠীরা ১৬৮ বার চড় মারল বছর বারোর ছাত্রীর গালে। ক্লাসের শিক্ষকের নির্দেশমতোই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রহৃত ছাত্রীর বাবা। অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ঝাবুয়ার থান্ডলা শহরের নবোদল বিদ্যালয়ে। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন প্রহৃত ছাত্রীর বাবা শিবপ্রসাদ সিং। যদিও চড় মারার ঘটনাকে বড় করে দেখতে নারাজ স্কুলের অধ্যক্ষ কে সাগর। তাঁর দাবি কড়াভাবে চড়া মারা হয়নি ওই ছাত্রীকে। এটি একটি বন্ধুত্বপূর্ণ শাস্তি।
প্রহৃত ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, বেশ কয়েকদিন ধরেই শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিল তাঁর মেয়ে। সেজন্যই সময়ে হোম ওয়ার্ক করে উঠতে পারেনি। স্কুল কর্তৃপক্ষ এই অসুস্থার কথা জানত। তারপরেও মেয়েকে শাস্তি পেতে হয়েছে। অভিযোগ, স্কুলে যাওয়ার পর বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার ভার্মা এই শাস্তির নিদান দেন। চলতি মাসের ১১ তারিখ থেকে ১৬ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন তাঁর মেয়েকে চড়া মারা হয়। শিক্ষকের নির্দেশ মাফিক ১৪ জন সহপাঠী দিনে দু’বার করে তাকে চড় মারত। সব মিলিয়ে ১৬৮ বার চড় মারা হয়েছে।
এর জেরে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ওই ছাত্রী। ভয়ে স্কুলে আসতে চাইছে না। উপায়ান্তর না দেখে মেয়েকে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন শিবপ্রসাদ সিং। থান্ডলা থানাতেও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই প্রসঙ্গে থানার কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক এস এস বাগেল জানিয়েছেন, ছাত্রীকে চড় মারার অভিযোগ পেয়েছি। তবে লিখিত কোনও অভিয়োগ এখনও জমা পড়েনি। একটি তদন্তকারী দলকে সংশ্লিষ্ট স্কুলে পাঠানো হয়েছিল। ঘটনাটি যে ঘটেছে তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। প্রহৃত ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও হয়ে আছে। তবে শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। তবে এমন ঘটনা কেন ঘটল, তা তদন্ত করে দেকা হচ্ছে।
যদিও মারধরের অভিযোগ মানতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। অভিযুক্ত শিক্ষককেও আড়াল করার চেষ্টা করেছে। তাদের দাবি, এটা একটা বন্ধুত্বপূর্ণ শাস্তি। ওই ছাত্রী পড়াশোনায় বড়ই দুর্বল। প্রায়ই হোমওয়ার্ক করে আনে না। এখানে শারীরিক শাস্তির অনুমতি নেই। তবে ওই ছাত্রীর পড়াশোনায় মতি ফেরানোর জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চড় মারার খবর পৌঁছেছে জেলাশাসক আশিস সাক্সেনার কাছে। তিনি ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.