সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যপালের নাম কী? রাজ্যে মোট ক’টি জেলা? কিংবা ১৩ ঘরের নামতা হোক অথবা ১৭ ঘরের নামতা, ছোটবেলায় প্রত্যেকেই আমরা সাধারণ এই প্রশ্নগুলির উত্তর শিখে থাকি। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা এটুকুও জানেন না। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থার তরফে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে।
রাজ্যের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতেও শিক্ষাকে পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকার। গত তিন বছরে এজন্য বহু প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলির সুবিধা কি প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে পৌঁছয়? পড়ুয়ারা ঠিকমতো পড়াশোনার সুযোগ কি পাচ্ছে? যে সমস্ত শিক্ষকরা তাদের দায়িত্বে রয়েছে, তাঁরা কি আদৌ যোগ্য? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে গিয়েছিলেন সাংবাদিকরা। শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। সেখানে গিয়েই খোঁজখবর নিতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু ওই সময়ই সাংবাদিকরা দেখতে পান, বোর্ডে ১৩ ঘরের নামতা লিখছেন এক শিক্ষক। কিন্তু সেই নামতায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ভুল।
এরপরই বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক সীতা প্রসাদ বৈগা এবং নন্দ কিশোর ঠাকরেকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন তাঁরা। যেমন- রাজ্যপালের নাম কিংবা মধ্যপ্রদেশের মোট ক’টি জেলা রয়েছে? কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, ১৭ ঘরের নামতা লিখতে গিয়েও ভুল করেন ওই শিক্ষকরা। ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অর্থাৎ ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যে সুরক্ষিত হাতে নেই, এই ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.