Advertisement
Advertisement
জিন্না

আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিন্নার ছবি সরানোই প্রথম কাজ, হুঙ্কার ভাবী সাংসদের

ভোটের আগেই জিন্নার ছবি সরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আলিগড়ের বিজেপি সাংসদ।

My first priority will be to send Jinnah's portrait: BJP MP
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 24, 2019 8:40 pm
  • Updated:May 24, 2019 8:40 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশপ্রেম আর হিন্দুত্ব, এই দুইয়ের সমন্বয়ে উত্তরপ্রদেশে ফের বাজিমাত করেছে বিজেপি। খাতায় কলমে জাতিগত সমীকরণে অ্যাডভান্টেজ থাকলেও সপা-বসপা মহাজোট উত্তরপ্রদেশে ভূলুণ্ঠিত। আসলে, যোগী-মোদিদের দেশপ্রেম আর হিন্দুত্বের তাস খুব ভালভাবে কাজ করেছে দেশের বৃহত্তম রাজ্যে। তাই ভোট মেটার পরও সেই অস্ত্রে লাগাতার শান দিয়ে যাচ্ছেন জয়ী প্রার্থীরা। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় আলিগড়ের নবনির্বাচিত সাংসদ সতীশ কুমার গৌতমের নাম। সাংসদ নির্বাচিত হয়েই নিজের দেশপ্রেমের বহর জাহির করেছেন এই সাংসদ। জানিয়ে দিয়েছেন, সাংসদ হিসেবে তাঁর প্রথম ও প্রাথমিক কাজ আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মহম্মদ আলি জিন্নার সব ছবি সরিয়ে ফেলা।

[আরও পড়ুন: লোকসভায় ভরাডুবির জের, পদত্যাগ রাজ বব্বর-সহ একাধিক কংগ্রেস নেতার]

আলিগড়ে সংখ্যালঘু ভোটারদের উপস্থিতি বেশ উল্লেখযোগ্য, তাঁর সঙ্গে যোগ হয়েছে দলিত-যাদব ফ্যাক্টর। তাই, সব মিলিয়ে ওই কেন্দ্রটিতে বিজেপির জয় অসম্ভব বলেই মনে করছিলেন রাজনীতির কারবাবিরা। কিন্তু, সেসব অঙ্ক ধুলোয় মিশিয়ে জয়ী হয়েছেন এলাকার দোর্দন্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতা সতীশ গৌতম। ভোটের আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিলেন, আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জিন্নার ছবি সরিয়ে ফেলবেন। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তারিক মনসুনকে তিনি চিঠি লিখেছিলেন ছবি সরানোর দাবিতে। কেন জিন্নার ছবি ভারতের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকবে, তাঁর ব্যাখ্যাও চেয়েছিলেন। কিন্তু সেসময় জিন্নার ছবি সরাতে রাজি হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়। এবার সাসংদ নির্বাচিত হওয়ার পর ফের সতীশ গৌতম জানিয়ে দিলেন, জিন্নার ছবি সরানোই তাঁর প্রথম কাজ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুরাটে কোচিং সেন্টারে বিধ্বংসী আগুন, প্রাণ বাঁচাতে মরণঝাঁপ]

উল্লেখ্য, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক জায়গায় রয়েছে মহম্মদ আলি জিন্নার ছবি। সম্প্রতি একাধিকবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রদর্শনীতেও জিন্নার ছবি দেখানো হয়। এমনকী গান্ধী জয়ন্তীতেও দেখানো হয়েছিল জিন্নার ছবি। যা নিয়ে বেশ বিতর্ক হয়েছে। স্থানীয় একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংস্থার তরফে জিন্নার ছবি সরানোর দাবি তোলা হয়। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সাফাই ছিল, জিন্না বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তাছাড়া তাঁকে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে , তাই ছবি সরানো সম্ভব নয়। এখন দেখার নতুন সাংসদ সেই কাজটি করতে গিয়ে কতটা বিরোধিতার মুখে পড়েন৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ