সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হীরক রাজের মূর্তির নাক ভাঙা কেন? সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ ছবিতে খুদে পড়ুয়ার গুলতির ঘায়ে নাক ভেঙেছিল হীরক রাজের মূর্তির। ছবির সেই দৃশ্যর পুনরাবৃত্তি দেশে। মূর্তি ভাঙার সংস্কৃতির নিন্দা করেছিলেন তিনি। এবার তিনিও সেই রাজনীতি থেকে বাদ গেলেন না। রাজার মূর্তিই এবার ভেঙে খান খান। যোগীর রাজ্যের কৌশাম্বীতে একটি মন্দিরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মূর্তি স্থাপিত ছিল। এবার সেটিও আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেল না। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেই মূর্তি। ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাকৃতিক কারণ নয়, কেউ বা কারা এই দুষ্কর্ম করেছে। স্থানীয়রা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
কৌশাম্বী জেলার ভগবানপুর। সেখানে বহুগারা গ্রামেই রয়েছে সেই মন্দিরটি। শুক্রবার স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে দেখতে পান, মোদির মূর্তির নাক ভেঙেছে। মূর্তি কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হল তা ঠিক ঠাওর করতে পারছেন না তাঁরা। তবে দেখে মনে হচ্ছে, এটি কারও দুষ্কর্ম। বস্তুত, ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে স্থানীয় বিজেপি নেতা ব্রজেন্দ্র নারায়ণ মিশ্র এই মূর্তিটি স্থাপন করেন। তাঁর ছেলে অলোক মিশ্রর দাবি, এই মন্দিরে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা হয় যেন মোদি প্রধানমন্ত্রী হন। সেই প্রার্থনা ভগবান রেখেছেন, প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
সরাই অকিল থানার পুলিশ আধিকারিক উমাশংকর যাদব জানিয়েছেন, তিনি মূর্তি ভাঙার বিষয়ে কোনও খবর পাননি। গোটা দেশে যখন একে একে লেনিন, পেরিয়ার, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, বি আর আম্বেদকর, মহাত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙা নিয়ে উত্তাল। তখন মোদির মূর্তির নাক ভাঙা বিতর্কের আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে। মূর্তি ভাঙার রাজনীতি কবে থামবে, প্রশ্ন তুলেছে বিদ্বজ্জন সমাজ। কিন্তু ঘটনা যেন বেড়েই চলেছে। রাশ টানার চেষ্টা করেও বিফল হচ্ছে একাধিক রাজ্যের প্রশাসন। ঘটনার পর ধরপাকড়েও থামছে না দুষ্কর্ম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.