Advertisement
Advertisement
militant idea

‘জাতীয়তাবাদের নামে দেশে উগ্রপন্থা ছড়ানোর চেষ্টা’, গেরুয়া শিবিরকে তোপ মনমোহনের

দেশের মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবেন বলেও মন্তব্য করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।

Nationalism, 'Bharat Mata Ki Jai' being misused to construct militant idea
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:February 23, 2020 10:20 am
  • Updated:February 23, 2020 10:22 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয়তাবাদ ও ‘ভারত মাতা কি জয়‘ স্লোগানের অপব‌্যবহার করার জন‌্য গেরুয়া শিবিরকে নিশানা করলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। তিনি বলেন, ‘‘জাতীয়তাবাদ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগানের অপব‌্যবহার করে দেশে একটা বিচ্ছিন্নতার আবহ তৈরি করা হচ্ছে। এটা হতে থাকলে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন।’’

শনিবার দিল্লিতে জওহরলাল নেহেরুর উপর একটি বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব‌্য রাখছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন। সেখানেই তিনি নাম না করে বিজেপিকে একহাত নেন। বলেন, ‘অননুকরণীয় পদ্ধতি এবং সব ভাষাভাষী মানুষের জন‌্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে আধুনিক ভারতের ভিত গড়েছিলেন নেহেরু। তিনি না থাকলে আজকের রূপ পেত না ভারত। একাধিক বিশ্ববিদ‌্যালয়, শিক্ষা এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন তিনি। আজ জাতীয়তাবাদ এবং ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান দিয়ে উগ্র এবং আবেগতাড়িত এমন এক ভারত তৈরির চেষ্টা চলছে, যাতে বহু মানুষ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। নেহেরুকে ভুলভাবে তুলে ধরার চক্রান্ত হচ্ছে। তবে ইতিহাসের মিথ‌্যা ব‌্যাখ‌্যা দেওয়ার কৌশল মানুষ একদিন প্রত‌্যাখ‌্যান করবেন। তখন সব সত‌্য প্রকাশ পাবে।’

Advertisement

[আরও পড়ুন: শাহিনবাগের পর এবার জাফরাবাদ, CAA বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি ]

 

Advertisement

গতকাল দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর উপর লেখা যে বইটি প্রকাশের অনুষ্ঠানে মনমোহন বক্তব্য রাখছিলেন, তার ইংরেজি নাম ‘হু ইজ ভারত মাতা (Who is Bharat Mata)।’ বক্তব্যের সেই নামের সদ্ব্যবহার করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বইটি আরও প্রাসঙ্গিক। কারণ এখন জাতীয়তাবাদ ও ভারত মাতার নাম করে দেশকে ভাগ করার চেষ্টা হচ্ছে। ভারত মাতা কে? কার জয় চান আপনারা? এই দেশের পাহাড়, নদী, জঙ্গল ও মাঠ সব কিছুই আমাদের সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেন ভারতবাসী। যাঁরা আসমুদ্রহিমাচলে ছড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা কখনই ইতিহাস ক্ষমা করবে না।’

[আরও পড়ুন: চণ্ডীগড়ে মহিলাদের আবাসনে ভয়াবহ আগুন, মৃত ৩ ছাত্রী ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ