ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছুদিন আগেও বোমা ও গুলির শব্দে ঘুম ভাঙত এই অঞ্চলের মানুষের। তবে সময় বদলেছে। নিরাপত্তা বাহিনী লাগাতার অভিযানে মাওবাদের নাগপাশ থেকে মুক্ত হয়েছে জঙ্গলঘেরা গ্রাম তুমুলপাড়। যার জেরেই স্বাধীনতার পর প্রথমবার সাধারণতন্ত্র দিবসের উৎসবে সামিল হলো ছত্তিশগড়ের সুখমা জেলায় ছোট্ট গ্রামটি। আধাসেনার উপস্থিতিতে গ্রামে পতাকা উত্তোলন করলেন গ্রামবাসীরা।
সেনা সূত্রে জানা যায়, ছত্তিশগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল এই তুমুলপাড়। সুকমা জেলার এইসব অঞ্চলগুলি থেকে মাওবাদকে সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করতে গত কয়েক বছর ধরে কোমর বেঁধে নেমেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। সেই লক্ষ্যে অনেকখানি সফলও হয়েছে তাঁরা। রবিবার ৭৬তম সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে মাওবাদমুক্ত তুমুলপাড়ে উৎসবের আয়োজন করে সিআরপিএফের ৭৪তম ব্যাটেলিয়ন। সেখানে সামিল হন গ্রামের শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই। পতাকা উত্তোলনের পর গ্রামবাসীদের গণতন্ত্রের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন কমান্ডার হিমাংশু পান্ডে। গ্রামের বাসিন্দাদের মিষ্টিও বিলি করা হয়। স্বাধীনতার পর প্রথমবার গণতন্ত্রের এমন উৎসবে সামিল হতে পেরে রীতিমতো খুশি গ্রামবাসীরা।
মাওবাদীদের ভয়ে বছরের পর বছর ধরে মাও অধ্যুষিত এইসব অঞ্চলে পতাকা উত্তলনের সাহস দেখায়ননি সাধারণ মানুষ। তবে গত এক বছরে অতীতের ছবিতে অনেকখানি বদল এসেছে। সুকমার মাও অধ্যুষিত অঞ্চলগুলিতে ১৬টির বেশি সেনা ক্যাম্প তৈরি হয়েছে। গ্রামগুলিতে সরাসরি পৌঁছে যাচ্ছে সরকারি প্রকল্পের সুবিধা। অন্যদিকে সমানতালে চলছে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান।
উল্লেখ্য, সম্প্রতিককালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একাধিক বার দাবি করেছেন, মাওবাদী দমনে সাফল্য এসেছে। এমনকী ২০২৬ সালের মার্চ মাসের মধ্যে দেশ মাওবাদীমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন শাহ। নকশালপন্থীদের নিকেশ করতে গোটা ছত্তিশগড় জুড়ে চলছে একের পর এক অভিযান। সম্প্রতি ওড়িশা ও ছত্তিশগড় সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে ২০ জন মাওবাদীর। এই তালিকায় ছিল এক কোটি মাথার দাম থাকা এক নকশাল কমান্ডার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.