সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিমান দুর্ঘটনা তো নয়ই, চিন বা রাশিয়াতেও নেতাজির মৃত্যু হয়নি। সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু হয়েছে ভিয়েতনামের জেলে। এমনই দাবি করলেন প্যারিসের ইতিহাসবিদ জেবিপি মোর। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ফরাসি সেনাবাহিনীর একটি গোপন ফাইলে রয়েছে নেতাজি মৃত্যুরহস্যের সমাধান। একশো বছরের জন্য সেই ফাইল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেন মোর। ভারত সরকার ফ্রান্সের উপর চাপ সৃষ্টি করে সেই ফাইল প্রকাশ করাতে পারলেই জানা যাবে নেতাজি অন্তর্ধান রহস্যের শেষ অধ্যায়।
প্যারিসের এক ইতিহাসবিদ জেবিপি মোর জানান, দীর্ঘ বছরের গবেষণার পরে তিনি এই বিষয়ে নিশ্চিত। তাঁর দাবি, সাইগন-এ শেষ জীবন কেটেছে নেতাজির। শুধু তাই নয়, ভিয়েতনামের বোট ক্যাটিনাট জেলে অত্যন্ত কষ্ট পেয়ে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। এই বিষয়ে একটি মাত্র ফাইল রয়েছে, যা দেখার জন্য আবেদন করলেও তাঁকে তা দেওয়া হয়নি। তাঁকে ফরাসি সেনাবাহিনীর তরফে ফাইলটি দেখতে দেওয়া হবে না বলে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল। যা থেকে তিনি আরও নিশ্চিত হন, ১৯৪৫ সালের সেপ্টেম্বরে সাইগনে মৃত্যু হয় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। তাঁর আরও দাবি, টোকিওতে যে চিতাভস্ম নেতাজির বলে দাবি করা হয়, তার কখনও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়নি। সেই চিতাভস্মও নেতাজির নয় বলে দাবি করেন মোর।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পনেরো মাসের তদন্তে ইতি টেনে সহায় কমিশন জানিয়েছিল, ফৈজাবাদের গুমনামি বাবা আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। ৩৪৭ পাতার রিপোর্টে লেখা ছিল তদন্তকারী কমিশনের সামনে উপস্থিত হয়ে যে সব সাক্ষী বয়ান দিয়েছেন, তাঁদের একটা বড় অংশ বিশ্বাস করেন, ‘গুমনামি বাবা’ই আসলে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহায় বলেছিলেন, “কমিশনের কাছে দু’ধরনের প্রাথমিক তথ্যপ্রমাণ ছিল। এক, যে সাক্ষীরা আমার সামনে দাঁড়িয়ে জবানবন্দি দিয়েছেন। দুই, যাঁরা ব্যক্তিগতভাবে হাজিরা দিতে পারেননি বলে হলফনামা পাঠিয়েছিলেন, যাকে আমি তাঁদের বয়ান হিসাবেই ধরে নিয়েছি। সাক্ষীদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, গুমনামি বাবাই নেতাজি। খুব কম মানুষই ভিন্নমত পোষণ করেছেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.