সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: যত কাণ্ড শিশমহলে। এই মহলের জেরেই ‘আম’ (সাধারণ) তকমা ঘুঁচেছিল আপের। বিজেপির অভিযোগ ছিল, এই মহল পাপের মহল। দিল্লি জয়ের পর এবার বিতর্কিত ‘শিশমহল’ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি। দিল্লির উপরাজ্যপাল ভিকে সাক্সেনাকে চিঠি লিখে বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, নয়া মুখ্যমন্ত্রী এই মহলে থাকবেন না। এই বাড়ি সরকারি কাজে ব্যবহার করা হোক।
দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান ইস্যু ছিল আপের দুর্নীতি। এখানে সর্ব প্রথম তারা নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রীর বিলাসবহুল আবাসনকে। যাকে শিশমহল বলে কটাক্ষ করে বিজেপি। অভিযোগ, এই আবাসনকে সাজিয়ে তুলতে কোটি কোটি টাকা নয়ছয় করেছেন ‘আম আদমি’ কেজরিওয়াল। খোদ প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, ‘করোনাকালে গোটা দেশ যখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে তখন শিশমহল বানাচ্ছিলেন কেজরি। অথচ ক্ষমতায় আসার আগে উনি বলেছিলেন সরকারি বাংলো নেবেন না।’ শিশমহল বিরোধী বিপুল প্রচারের পর ক্ষমতায় এসে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী যদি সেখানে থাকতে শুরু করেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে পড়বে গেরুয়া শিবিরের ভাবমূর্তি। সে কথা মাথায় রেখেই এবার উপরাজ্যপালকে চিঠি লিখলেন দিল্লি বিজেপির সভাপতি বীরেন্দ্র সচদেব।
চিঠিতে বীরেন্দ্র জানিয়েছেন, সরকারের আরও চারটি বাড়ির জমির ‘দখল’ নিয়ে ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের বাংলোর সঙ্গে মিলিয়ে অরবিন্দ কেজরিওয়াল শিশমহল তৈরি করেন। সেগুলিকে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হোক। ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের বাংলো কী কাজে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে নতুন সরকার। বর্তমানে ওই বাংলো আবগারি দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারীদের নজরে। তাই সেখানে নতুন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না। পাশাপাশি চিঠিতে তিনি আরও জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ওই বাসভবন আগে ১০ হাজার বর্গমিটারের কম জমিতে তৈরি হয়েছিল। বেআইনিভাবে তা পুনর্নির্মাণ করে ৫০ হাজার বর্গমিটারের বিলাসবহুল আবাসনে পরিণত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন কোন জমি ব্যবহার করা হয়েছে তাও বিশদে তুলে ধরেছেন বিজেপি সভাপতি।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাল থেকে ২৪ সাল পর্যন্ত ৬ নম্বর ফ্ল্যাগস্টাফ রোডের এই বাংলো ছিল কেজরিওয়ালের বাসস্থান। ২০২৪ সালে আবগারি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার সঙ্গে সঙ্গে বাংলো ছাড়েন কেজরি। এরপর সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে কেজরির গোহারা হারের নেপথ্যে অন্যতম কারণ হিসেবে দেখা হয় এই বাংলোকেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.