Advertisement
Advertisement

অমরনাথের পবিত্র গুহাকে ‘সাইলেন্স জোন’ ঘোষণা পরিবেশ আদালতের

ঘণ্টাধ্বনি, কোলাহল আর নয়।

NGT declares Amarnath cave shrine 'silence zone'

ফাইল ফটো

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:December 13, 2017 1:09 pm
  • Updated:September 19, 2019 4:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবার অমরনাথ ধামকে সাইলেন্স জোনের আওতায় অন্তর্ভূক্ত করল পরিবেশ আদালত। বুধবারই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল একটি নির্দেশিকা জারি করে এই মর্মে। পূজার্চনার ক্ষেত্রেও মন্দিরের প্রবেশপথের থেকেই নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্তর কুমার এদিন জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষ যেন পূণ্যার্থীদের দর্শনের জন্য সবরকম পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করে এবং মন্দির সংলগ্ন এলাকার পরিবেশও যেন যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

[ব্যাঙ্কে আধার সংযুক্তিকরণের মেয়াদ ফের বাড়াল কেন্দ্র, বাড়ল বিতর্ক]

প্রসঙ্গত, আগেই মন্দির চত্বরকে শব্দমুক্ত অঞ্চলের আওতায় ফেলার কথা জানিয়েছিল পরিবেশ আদালত। মন্দিরের কোলাহল, ঘণ্টাধ্বনির ফলে ওই অঞ্চলে তুষারধসের প্রবণতা বাড়ছিল। এছাড়াও গুহার অভ্যন্তরের পরিবেশ রক্ষার জন্যও এই সিদ্ধান্ত আব্যশিক ছিল বলে মত পরিবেশ আদালতের। গ্রিন ট্রাইব্যুনালের সিদ্ধান্ত খুশি পরিবেশবিদরাও। কী বলা হয়েছে সেই রায়ে? এদিন পরিবেশ আদালতের একটি বিশেষ বেঞ্চ জানায়, বাইরে থেকে কোনও জিনিস সিঁড়ি দিয়ে পবিত্র গুহার ভিতরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। মন্দিরের প্রবেশপথে প্রত্যেকের খানাতল্লাশি করতে হবে। সিঁড়ির শেষভাগ থেকে গুহা পর্যন্ত পুরোপুরি সাইলেন্স জোন হিসাবে চিহ্নিত হবে।

Advertisement

[এমআরপি-র থেকে বেশি দামে জলের বোতল বিক্রিতে অনুমতি হোটেল-রেস্তরাঁয়  ]

তবে অনেক পূণ্যার্থীই অভিযোগ করেন, গুহার ভিতরে তাড়াহুড়োর জন্য এবং নিরাপত্তার খাতিরে বেশিক্ষণ দাঁড়ানো যায় না। এতে তুষারলিঙ্গর দর্শনও ভালভাবে হয় না। পরিবেশ আদলত এদিন পূণ্যার্থীদের কথা মাথায় রেখে জানিয়েছে, তুষারলিঙ্গর সামনে থেকে লোহার গ্রিল সরিয়ে ফেলতে হবে। যাতে তীর্থযাত্রীদের দর্শনে কোনও বাধা না আসে। একইসঙ্গে ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ, পবিত্র কাঠামোর সামনে শব্দদূষণের লেশ মাত্র যেন না থাকে। মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে অন্যান্য দামি জিনিস গুহার ভিতরে নিয়ে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই সেই মূল্যবান জিনিসগুলি রাখার জন্য একটি বিশেষ জায়গা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মন্দির বোর্ডকে।

Advertisement

[রাম সেতু কি মানুষেরই তৈরি? নয়া ছবি ঘিরে বাড়ছে জল্পনা]

যাবতীয় পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ আদালত। কেন্দ্রীয় পরিবেশ ও বনমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব ওই কমিটির প্রধান হবেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে বোর্ডকে প্রকল্প সংক্রান্ত প্ল্যান সেই কমিটির কাছে জমা দিতে হবে। পরিবেশবিদ গৌরী মাওলেখির আবেদনের ভিত্তিতেই মামলা ওঠে পরিবেশ আদালতে। ট্রাইব্যুনালের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। আগামী বছর ১৮ জানুযারি অমরনাথ ধামের পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত মামলার ফের শুনানি হবে।

[AK47 হাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি বিজেপি নেতার, বিতর্ক তুঙ্গে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ