Advertisement
Advertisement

বড় সাফল্য এনআইএ-র, পাকড়াও নাগরোটা সেনা ঘাঁটিতে হামলার মূলচক্রী

দেশ ছেড়ে পালানোর আগেই গ্রেপ্তার জইশ জঙ্গি৷

NIA arrested key accused of Nagrota Terror Attack
Published by: Tanujit Das
  • Posted:October 21, 2018 11:08 am
  • Updated:October 21, 2018 11:18 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরোটা সেনা ঘাঁটিতে হামলায় মূলচক্রীকে গ্রেপ্তার করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ৷ ধৃতের নাম আবদুল হামিদ খানদে৷ দীর্ঘদিন ধরেই তার খোঁজ করছিলেন তদন্তকারীরা৷ কিন্তু বারবারই চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল জইশ-ই-মহম্মদের এই জঙ্গি৷ তবে এবার আর শেষরক্ষা হল না৷ অবশেষে তদন্তকারীদের হাতে ধরা পড়তে হল এই জঙ্গিকে৷ সূত্রের খবর, এবার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ছিল আবদুল৷ শ্রীলঙ্কা হয়ে সৌদি আরবে পালিয়ে যাওয়ার ছক কষেছিল সে৷

[রেস্তরাঁয় পুলিশকে মারধর বিজেপি কাউন্সিলরের, ভাইরাল ভিডিও]

Advertisement

২০১৬-য় জম্মুর নাগরোটা সেনা শিবিরে হামলা করে জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিরা৷ গভীর রাতে নাগরোটার সেনা শিবিরে হামলা চালায় তিনজন সশস্ত্র জঙ্গি। হামলায় শহিদ হন দুই সেনা অফিসার এবং পাঁচ জওয়ান৷ পরে বাহিনির সঙ্গে গুলি বিনিময়ে খতম হয় তিন জঙ্গিও। জঙ্গিদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় একে-৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (ইউবিজিএল) ও গ্রেনেড। উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরকও। হামলার তদন্তভার নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনাইএ৷ জঙ্গিরা ‘জইশের আফজল গুরু স্কোয়াড’ সদস্য বলে স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়৷ ২০০১-র পার্লামেন্ট হামলার দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির বদলা নিতে চায় এবং ভারতের সেনা ঘাঁটিতে হামলার কারণে দীর্ঘদিন ধরেই এই স্কোয়াডকে গঠন করা হয় আফজল গুরুর নামে। এমনই তথ্য উঠে আসে গোয়েন্দাদের কাছে৷

Advertisement

[কুর্নিশ, একাই সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার কৃষিঋণ মেটাবেন অমিতাভ]

জানা গিয়েছে, এনআইএ তদন্তেই উঠে আসে আবদুল হামিদ খানদের নাম৷ জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার আছহান গ্রামের বাসিন্দা এই জইশ জঙ্গির বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করে এনআইএ৷ সূত্রের খবর, সাম্বা সীমান্ত থেকে হামলাকারী তিন জইশ জঙ্গিকে সেনা ক্যাম্প পর্যন্ত পৌঁছে দেয় আবদুল হামিদ খানদে৷ এমনকী, সেনা ঘাঁটির মানচিত্রও জঙ্গিদের হাতে তুলে দিয়েছিল সে৷ এনআইএ-র সূত্রে খবর, ওই হামলার অন্যতম মূলচক্রী হিসাবেও কাজ করেছে আবদুল হামিদ৷ এর আগে হামলার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ৷ তাঁদের নাম সইয়দ মুনির-উল-কোয়াদরি, তারিক আহমেদ দার ও মহম্মদ আসিক বাবা৷ এদের জেরা করেই তদন্তকারীরা জানতে পারে যে, জাল পাসপোর্ট তৈরি করে ভারত থেকে পালানোর ছক কষছে আবদুল হামিদ৷ তখন থেকেই এই জঙ্গির খোঁজ চালাচ্ছিলেন তদন্তকারীরা৷ অবশেষে মিলল সাফল্য৷ 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ