সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহাজুটির ভাঙন নিয়ে জল্পনা চলছে। বিশেষ করে শিণ্ডে-সেনার শিবিরের ২০ জন বিধায়কের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নাকি তুলে নেওয়ার পর এই জল্পনা আরও জোরালো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন খোদ শিণ্ডে। সটান জানালেন, তাঁর ও ফড়নবিসের মধ্যে সম্পর্ক ‘ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল’ । শিণ্ডের পরিষ্কার দাবি, তিনি মহাজুটিতে কোনও সমান্তরাল ‘সিস্টেম’ চালাচ্ছেন না মোটেই।
মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ও একনাথ শিণ্ডের টানাপোড়েন নিয়ে গত বছরের শেষার্ধে ‘নাটক’ জমেছিল। শোনা যাচ্ছিল মসনদ ছাড়তে খুব একটা রাজি ছিলেন না শিণ্ডে। যদিও শেষপর্যন্ত তিনি রাজি হন। কিন্তু গুঞ্জন, ভিতরে ভিতরে একটা অসন্তোষ ছিলই। সম্প্রতি জানা যায়, শিণ্ডে-সেনার শিবিরের ২০ জন বিধায়কের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে। কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার রুখতেই এমন পদক্ষেপ। কারণ যাই হোক, একসঙ্গে কুড়িজন বিধায়কের ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ বিজেপি ও শিণ্ডে-সেনার মধ্যে আরও ফাটল ধরাবে বলেই দাবি করছিল ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। কিন্তু সেই দাবি নস্যাৎ করে দিলেন শিণ্ডে।
সেই সঙ্গেই মহারাষ্ট্রের মন্ত্রালয়ে একটি আলাদা মেডিক্যাল সেল তৈরি করেছেন শিণ্ডে। তা নিয়েও বিতর্ক ছিল। প্রশ্ন উঠছিল, কেন মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল তথা সিএমআরএফ থাকা সত্ত্বেও এই সেল তৈরি করা হল। শিণ্ডে এই প্রসঙ্গে বলছেন, ”নাগরিকদের সাহায্যার্থে আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এই সেল তৈরি করা হয়েছে। এটা মুখ্যমন্ত্রীর ওয়ার রুমের সঙ্গে সংযোগ গড়েই চলবে। কোনওভাবেই প্রতিযোগাতিমূলক কোনও সিস্টেম করা এর উদ্দেশ্য নয়।”
এরপরই বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ”আমাদের মধ্যে কোনও ঠান্ডা লড়াই নেই। উন্নয়নের যারা বিরোধী তাদের বিরুদ্ধে একত্রিত হয়ে লড়তে হবে আমাদের। আমি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম তখন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকা ফড়নবিসও একটি একই রকম সেল গড়ছিলেন।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.