সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনতে অভিনব উদ্যোগ কেন্দ্রের। দ্রুতই নরম পানীয়, লজেন্সের দোকানে বিড়ি-সিগারেটের মতো তামাকজাত পণ্যের বিক্রিতে রাশ টানা হচ্ছে। যে সব দোকানে সিগারেট বিক্রি হবে, তাঁদের স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আলাদা করে অনুমতি নিতে হবে। কোনও দোকানে সিগারেট বিক্রি করলে, সেই দোকানে এমন কোনও পণ্য রাখা যাবে না যেগুলি নন-স্মোকারদের আকৃষ্ট করতে পারে। এমনটাই প্রস্তাব কেন্দ্রের।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, এখন থেকে বিড়ি, সিগারেট, খৈনি বা গুটখার মতো তামাকজাত পণ্য বিক্রি করতে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে আলাদা অনুমতি নিতে হবে। মন্ত্রকের আর্থিক উপদেষ্টা অরুণ ঝা বলেছেন, ‘স্থানীয় প্রশাসনের কাছে একটি নির্দিষ্ট তালিকা থাকবে যে কারা কারা একটি নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করেন। যাতে দেশে কতগুলি সিগারেটের দোকান আছে তার স্পষ্ট হিসাব থাকে কেন্দ্রের কাছে।’ তাঁর মত, অবিলম্বে দেশে এরকম একটি কড়া পদক্ষেপ প্রয়োজন। কারণ, এই দেশের অধিকাংশ নাগরিকই যুবক বা অল্পবয়সী। তাঁদের স্বাস্থ্য অটুট রাখতে সারা দেশে তামাকজাত পণ্য বিক্রির উপর কড়া নিয়ন্ত্রণের দরকার।
তিনি আরও জানিয়েছেন, ছোটদের তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি বন্ধ করতে হবে। তামাকজাত পণ্যের কোনও বিজ্ঞাপন করা যাবে না। যে সব দোকানে কোল্ডড্রিঙ্কস, লজেন্স, টফি, বিস্কুট পাওয়া যাবে, সেখানে বিড়ি-সিগারেট বিক্রি করা যাবে না। কারণ, যাঁরা নন-স্মোকার বা ধূমপান করেন না তাঁরা যাতে ওই সব দোকানের প্রতি আকৃষ্ট না হন, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রের একটি পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে অন্তত ১.২ বিলিয়ন মানুষের মধ্যে প্রতি পাঁচজনে একজন করে গুটখা বা খৈনি খান। অন্তত ১০০ মিলিয়ন মানুষ সিগারেট বা বিড়ির প্রতি আসক্ত। ভারতে ১৬ বছরের নিচে কাউকে তামাকজাত পণ্য বিক্রি করা বেআইনি। হু হু করে বাড়ছে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা। অথচ, ডাক্তাররা বলছেন, এর মধ্যে ৪০ শতাংশই আটকানো যেত ধূমপানের উপর রাশ টানতে পারলে। আর তাই এবার দেশের যুব সম্প্রদায়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় কোমর বেধে নামছে কেন্দ্র।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.