Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুখটানের বয়স বৃদ্ধি

একুশে পা দিলে তবেই সিগারেট, আইন ভাঙলে মোটা জরিমানা

নয়া প্রস্তাব স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।

Not 18, you have to be on 21 for smoking, suggestion by Health Ministry
Published by: Paramita Paul
  • Posted:February 24, 2020 1:32 pm
  • Updated:February 24, 2020 1:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : ১৮ নয়, ২১। বাড়ছে সুখটান দেওয়ার বয়স। এখন ১৮ বছর পার করলেই দিব্যি ধূমপান করার ছাড়পত্র মেলে। দোকান থেকেও তা কিনতে গেলে কেউ চোখ পাকায় না। কিন্তু আগামীদিনে তা আর হবে না। কেননা, সিগারেট হোক বা বিড়ি কিংবা তামাকজাত দ্রব‌্য সেবনের ক্ষেত্রে নয়া নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য মন্ত্রক। তামাক সেবনের আইনগত বয়স নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে ওই মন্ত্রক। তবে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দ্রুত ওই নির্দেশিকা জারি করবে মন্ত্রক।

তামাক সেবনের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ বছর করার ভাবনা-চিন্তা করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ‌্য মন্ত্রক। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে আইনি উপ-গোষ্ঠী। স্বাস্থ‌্য মন্ত্রক ওই উপ-গোষ্ঠী তৈরি করেছে। ওই আইনি উপ-গোষ্ঠীর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২১ বছরের কম বয়সিদের দোকানেও তামাকজাত দ্রব্য কিনতে পাঠাতে পারবেন না অভিভাবকরা। নিষিদ্ধ এলাকায় ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়ে থাকে। সেই জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে পুরুষদের ১৯ শতাংশ, মহিলাদের মধ্যে ২ শতাংশ ধূমপান করেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন : জাফরাবাদে আন্দোলনের জেরে বন্ধ একাধিক রাস্তা, যানজটে নাকাল দিল্লিবাসী]

সাধারণত স্কুলের শেষদিক কিংবা কলেজ জীবনের শুরু থেকেই ছাত্ররা ধূমপান করতে শুরু করে। অনেকটা স্টাইলের বশেই তারা ধূমপান বা তামাক সেবন করে থাকে। তবে তামাক সেবনের বয়সসীমা ২১ বছর করলে ছাত্রাবস্থা থেকে ধূমপানের প্রবণতা কমবে। এতে করে ছাত্রদের শারীরিক ক্ষতিও কম হবে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে। প্রত্যেক বছরই অল্প বয়সিদের মধ্যে ধূমপানের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু ধূমপানের আইনি বয়স বাড়ানো হলে তা অনেকটাই কমবে বলে মনে করছে ওই আইনি উপ-গোষ্ঠী।

Advertisement

[আরও পড়ুন :পাকিস্তান জিন্দাবাদ স্লোগান দিলেই গুলি চালানো হোক, নয়া আইনের দাবি কর্ণাটকের মন্ত্রীর]

প্রসঙ্গত, সিগারেটের নেশা ছাড়াতে একাধিক বার ব্যবস্থা নিয়েছে কেন্দ্র। সিগারেটের বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বাজেটেই তামাকজাত দ্রব্যের দাম বাড়ানো হয়। এ দেশে আগেই ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর এ দেশে ১০ লক্ষ লোকের মৃত্যুর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কারণ হল ধূমপান।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ