সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পার্লারে যাওয়া, নববর্ষ পালনে বিধিনিষেধের পর এবার মুসলিম মহিলাদের জন্য জারি হল নয়া নিষেধাজ্ঞা। সৌজন্যে উত্তরপ্রদেশের মুসলিম সংগঠন দারুল-উলুম-দিওবান্দ। তবে এবারের নিষেধাজ্ঞা অনেকটাই ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’-র মতো। অর্থাৎ মহিলাদের বোরখা পরাটা আবশ্যিক, কিন্তু তাতে থাকতে পারবে না কোনও ডিজাইন বা কারুকার্য। কট্টরপন্থী সংগঠনের মতে, এতে পুরুষদের নজর বেশি করে মহিলাদের দিকে যেতে পারে। এছাড়া ইসলামও এ ধরনের বোরখা পরার অনুমতি দেয় না। খোদ যোগীর রাজ্যে মুসলিম সংগঠনের এ ধরনের নিষেধাজ্ঞাও পড়ে গিয়েছে শোরগোল।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি সংগঠনের মুফতিদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, অনেক মুসলিম মহিলাই এমন অনেক ধরনের বোরখা পরেন যেগুলিতে নানা রকম কারুকার্য করা থাকে। কিংবা সেগুলি গায়ের সঙ্গে লেপটে থাকে। এ ধরনের বোরখা দেখলে পুরুষরা বেশি আকৃষ্ট হয়ে পড়েন। ইসলাম ধর্মে কি এ ধরনের বোরখা পরাকে মান্যতা দেওয়া হয়? জবাবে কট্টরপন্থী ওই সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ইসলাম ধর্মে হিজাবের নামে রঙিন, কারুকার্য করা বোরখা কিংবা গায়ের সঙ্গে লেপটে থাকে এমন বোরখা পরাকে মেনে নেওয়া হয় না। এ ধরনের পোশাককে ‘হারাম’ বলে মনে করা হয়।’
এর আগে উত্তরপ্রদেশের শাহারানপুরের এই সংগঠনটিই মুসলিম মহিলাদের নববর্ষ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। তাদের মতে, এ ধরনের অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার অর্থ ইসলামিক রীতির বিরুদ্ধাচরণ করা। তাছাড়া ইসলামিক ক্যালেন্ডার সবসময় মহরম থেকেই শুরু হয়। এই প্রথম নয়, এর আগে মুসলিম মহিলাদের পার্লারে যাওয়া থেকে গীতাপাঠেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল এই সংগঠনটি। তবে বোরখায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আরও বেশি করে বিতর্কে জড়াল সংগঠনটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.