Advertisement
Advertisement

Breaking News

ওম বিড়লা

‘আপনি নিরপেক্ষ হোন’, লোকসভায় প্রথম বক্তৃতাতেই স্পিকারকে সংহতির বার্তা অধীরের

লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন ওম বিড়লা, সমর্থন তৃণমূলেরও।

Om Birla elected as the speaker of the 17th lok Sabha
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 19, 2019 1:52 pm
  • Updated:June 19, 2019 4:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যাশামতোই সপ্তদশ লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হলেন বিজেপি সাংসদ ওম বিড়লা। বুধবার লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তরফে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সম্মতিতে ওম বিড়লার নাম প্রস্তাব করা হয়। নাম প্রস্তাব করেন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীও। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রস্তাবিত প্রার্থীকেই সমর্থন করে কংগ্রেস তৃণমূল-সহ অন্য বিরোধীরা। স্পিকার নির্বাচনের পরই কংগ্রেসের দলনেতা হিসেবে লোকসভায় প্রথম বক্তৃতা করেন অধীর রঞ্জন চৌধুরি। নিজের প্রথম বক্তব্যেই রীতিমতো নজর কাড়লেন লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিই ছিল বহরমপুরের সাংসদের বক্তব্যের মূল সুর।

[আরও পড়ুন: খুনের চেষ্টার অভিযোগে, মধ্যপ্রদেশে প্রেপ্তার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে]

ওম বিড়লার লোকসভার স্পিকার নির্বাচিত হওয়াটা কার্যত নিশ্চিত ছিল। সরকার পক্ষের প্রস্তাব করা প্রার্থীকেই সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছিল বিরোধীরা। এদিন সেইমতোই মোদির প্রস্তাবে সাড়া দেয় সব পক্ষ। কংগ্রেসের তরফে প্রস্তাবকে সমর্থন করেন দলনেতা অধীর চৌধুরি। তৃণমূলের তরফে নোটিস না দেওয়া হলেও, শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেন দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এনডিএর অন্যান্য শরিকরাও ওম বিড়লাকে স্পিকার পদে সমর্থন করেন। ওম বিড়লা স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজস্থানের কোটা শহরের আধুনিকীকরণে তাঁর ভূমিকারও প্রশংসা করেন মোদি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই নেই, কেন্দ্রের কোপে আরও ১৫ জন কর আধিকারিক]

তবে, এদিন স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানানোর বক্তৃতায় সবচেয়ে বেশি নজর কাড়েন কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরি। গত দুদিন ধরে সংসদে শপথপ্রহণের সময় ধর্মীয় স্লোগান ব্যবহার করে বিতর্কে জড়িয়েছেন একাধিক সাংসদ। এদিন সেই আচরণের বিরোধিতা করেন অধীরবাবু। তিনি বলেন, “যেদিন মৌলবিরা মসজিদে ভগবানকে দেখতে পাবেন, যেদিন পুরোহিত মন্দিরে রহমানকে দেখতে পাবেন, যেদিন মানুষ মানুষের মধ্যে শুধু মানুষকে দেখতে পাবে, সেদিনই প্রকৃত শান্তি ফিরতে পারে।” প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর অনুরোধ, “সংসদকে খিচুড়িতে পরিণত হতে দেবেন না। আপনি বলছেন আমাদের পক্ষ বা বিপক্ষ না ভেবে নিরপেক্ষ হওয়া উচিত। আমি বলছি, ভারত বহুদলীয় শাসন ব্যবস্থা, এখানে বহুপক্ষ থাকবে। কিন্তু আপনি নিরপেক্ষ হোন।” শেষে স্পিকারের উদ্দেশে হিন্দিতে একটি কবিতাও শোনান অধীর।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ