সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি বিরোধী মহাজোটের হাওয়া এখন অনেকটাই স্তিমিত। তৃতীয় ফ্রন্ট বা ফেডারেল ফ্রন্টের যে স্বপ্ন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখাচ্ছিলেন তা কার্যত বৃহত্তর ইউপিএতে পরিণত হয়েছে। বিরোধীদের যে ঐক্য দেখা গিয়েছিল কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে, তা এরপর একাধিকবার ধাক্কা খেয়েছে। সুযোগ বুঝে আসরে নেমে পড়ল বিজেপিও। ক্রমশ ধুঁকতে থাকা বিরোধী ঐক্যে আরও আঘাত হানার চেষ্টা করার ত্রুটি করছে না বিজেপি। আরও একবার প্রমাণ মিলল কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকরের কথায়।
[হিন্দু ছাড়া অন্য ধর্মাবলম্বীরা ‘কুকুর’! ভাগবতের শিকাগো বক্তৃতা ঘিরে বিতর্ক]
বিরোধীদের আক্রমণ শানাতে গিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বললেন, নরেন্দ্র মোদির পুনরায় ক্ষমতায় আসা নিশ্চিত। বিজেপির নেতৃত্বে ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভারতের নির্মাণ হবে। দেশবাসী তা বিশ্বাস করে। মোদিকে হারাতে না পেরে বিরোধীরা হতাশ হয়ে পড়ছে। তাই তাদের একমাত্র এজেন্ডা হয়ে উঠছে মোদিকে আটকানো। এরপরই জাভড়েকর বলেন, মোদিকে আটকাতে যে বিরোধীরা এক জায়গায় হওয়ার চেষ্টা করছেন তাদের না আছে কোনও নেতা, না আছে কোনও নীতি আর না আছে কোনও রণকৌশল। নেতা, নীতি, রণনীতি এই তিনের অভাবে বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টি, ইচ্ছাশক্তি, এবং কল্পনাশক্তির সামনে টিকতেই পারবে না।
[বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার, ৩৫ জন গ্রামবাসীকে বেধড়ক মারধর মাওবাদীদের]
প্রায় বছর দেড়েক আগে থেকেই নরেন্দ্র মোদির ‘আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে লড়াই করতে এক ছাতার তলায় আসার চেষ্টা শুরু করেছিল বিরোধীরা। বিজেপি বিরোধী মহাজোটের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই স্বপ্ন এখনও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়নি। মমতার বিরোধী জোটের সাম্ভাব্য সঙ্গী কে চন্দ্রশেখর রাও স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বিরোধী শিবিরে নেই, বরং তিনি ঝুঁকে রয়েছেন বিজেপির দিকেই। ওড়িশার নবীন পট্টনায়েকও, দিল্লির কেজরিওয়ালরাও এখনও বিরোধী জোটে নেই। এদিকে, সোমবার কংগ্রেসের ডাকা বনধকে অন্য বিরোধীদের কেউ কেউ সমর্থন করলেও সমর্থন করেনি খোদ তৃণমূল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, বিরোধী ঐক্য নিয়ে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পদের নির্বাচনের পর থেকেই বিরোধী জোটে ফাটলের ছবিটা স্পষ্ট, আর এদিন সেই ফাটলই আর একটু চওড়া করার প্রয়াস করলেন প্রকাশ জাভড়েকর।