Advertisement
Advertisement
Navjot Singh Sidhu

পাকিস্তানপ্রেমী সিধু! বিধানসভায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা

সিধুকে বরখাস্তের দাবিতে উত্তপ্ত বাজেট অধিবেশন৷

Opposition slams Sidhu on controversial remark on Pulwama attack
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 18, 2019 4:57 pm
  • Updated:August 21, 2020 11:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চাপ বাড়ল পাঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা তথা মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুর৷ পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার ঘটনায় বিতর্কিত মন্তব্য করে আগেই সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন তিনি৷ এবার সিধুকে বিধানসভা থেকে বরখাস্ত করার দাবিতে সরব হলেন বিজেপি ও অকালি দলের বিধায়করা৷

[বিয়েতে পাওয়া টাকা শহিদদের পরিবারের জন্য দান করলেন গুজরাটের নবদম্পতি ]

Advertisement

সোমবার ছিল পাঞ্জাব বিধানসভার বাজেট অধিবেশন৷ সূত্রের খবর, অধিবেশন শুরুর আগেই সিধুর একটি ছবি পোড়ান অকালি দলের বিধায়করা৷ যে ছবিতে সিধুকে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়ার সঙ্গে আলিঙ্গনরত অবস্থায় দেখা যায়৷ এরপরই সিধুকে বরখাস্তের দাবিতে বিধানসভার অন্দরে সরব হন বিজেপি ও অকালি দলের বিধায়করা৷ পাঞ্জাবের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে পাক-সখ্যতার অভিযোগ তুলে, তাঁর ব্যাপক সমালোচনা করেন বিরোধী বিধায়করা৷ এদিন পাঞ্জাব বিধানসভায় সর্বসম্মতিক্রমে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা হয়৷ এরপরই সিধুর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিরোধী বিধায়করা৷ শিরোমণি অকালি দলের নেতা প্রকাশ সিং বাদল বলেন, ‘‘এখনই সিধুকে দল থেকেও সাসপেন্ড করুক কংগ্রেস৷ এমনকী, দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা উচিত৷’’ কিন্তু এই ঘটনার পরও সন্ত্রাসবাদে মদতদাতা পাকিস্তানের বিষয়ে নিজের আগের অবস্থানেই অনড় রয়েছেন সিধু৷ তিনি আবারও বলেন, ‘‘জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করা যায় না৷’’ এখানেই শেষ নয়, বিরোধীদের খোঁচা দিতে তিনি টেনে আনেন কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের ঘটনা৷ প্রশ্ন করেন, ‘‘সেই সময় কারা জঙ্গি মাসুদ আজহারকে মুক্তি দিয়েছিল?’’

Advertisement

[পুলওয়ামার পর প্রত্যাঘাতের আশঙ্কা, ঘরে ফিরছেন ভিন রাজ্যের কাশ্মীরি পড়ুয়ারা]

পুলওয়ামায় ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা নিন্দা করলেও, ঘটনায় পাকিস্তানের দোষ দেখতে পাননি পাঞ্জাবের মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা নভজ্যোৎ সিং সিধু৷ তাঁর যুক্তি ছিল, কয়েকজনের জন্য একটা গোটা দেশকে দোষ দেওয়া যায় না। শুক্রবার জঙ্গি হামলার নিন্দা করলেও তিনি বলেন, ‘‘এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হওয়া প্রয়োজন৷ কথাবার্তার মাধ্যমেই একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব৷ কতদিন জওয়ানরা তাঁদের জীবন বিপন্ন করবেন? কতদিন আর রক্ত ঝরবে?’’ এরপরই চরম কটাক্ষ ও সমালোচনার মুখে পড়তে হয় সিধুকে৷ উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগেই তিনি হাজির হয়েছিলেন পাকিস্তানে৷ হাজার সমালোচনা সত্বেও পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান এবং কর্তারপুর করিডরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি৷ পাক সেনাপ্রধান এবং ভারত বিরোধী এক উগ্রবাদী নেতার সঙ্গে সিধুর হাত করমর্দনের ছবিও যথেষ্ট নিন্দিত হয়েছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ