সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত পাঁচ আগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনার অপসারণের পর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সংসদে তথ্য দিয়ে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অনুপ্রবেশ রুখতে ভারত সরকারও যে কড়া অবস্থান নিচ্ছে, সেটাও জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই।
বুধবার সংসদে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই জানিয়েছেন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ২৬০১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি থেকে আগস্ট এই ৬ মাসে ধরা পড়ে ৮৭৯ জন। পরের ৬ মাসে অর্থাৎ হাসিনা গদিচ্যুত হওয়ার পর এই অনুপ্রবেশের চেষ্টাটা ৮০ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আগস্ট থেকে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত অনুপ্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়েছে ১৫৮৪ জন বাংলাদেশি। মাসের হিসাবে গত ১৩ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশের চেষ্টা হয়েছে গত বছর অক্টোবর মাসে। স্রেফ অক্টোবরেই অনুপ্রবেশের চেষ্টায় সীমান্তে ধরা পড়ছে ৩৩১ জন বাংলাদেশি।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, হাসিনার অপসারণের মাসে অর্থাৎ অগস্টে ২১৪ জন বাংলাদেশি ভারতে প্রবেশের চেষ্টায় ধরা পড়েছে। সেপ্টেম্বরে ৩০০, অক্টোবরে ৩৩১, নভেম্বরে ৩১০ এবং ডিসেম্বরে ২৫৩ জন বাংলাদেশি ধরা পড়েছে অনুপ্রবেশের চেষ্টায়। অশান্ত বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা যে বাড়বে সেটা ভালোমতোই জানে শাহী মন্ত্রক। সেই মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ রুখতে সীমান্তে লোকবল বাড়ানো হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
অমিত শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, নজরদারির জন্য উন্নত যন্ত্র, আরও বেশি লোকবল এবং প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। বিএসএফ এখন ‘হ্যান্ড হেল্ড থার্মাল ইমেজার’ ব্যবহার করছে। এর ফলে কেউ ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে থাকলে সহজে ধরা পড়ে। পাশাপাশি অন্ধকারে দেখার জন্য বিশেষ যন্ত্রও ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া ইউএভি, সিসিটিভি, পিটিজেড ক্যামেরা, ইনফ্রারেড সেন্সরও ব্যবহার করা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.