সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মৃত্যু যে ওত পেতে রয়েছে খাবারের দোকানে তা কে জানত! দুপুর আড়াইটে নাগাদ বৈসরনে ওই খাবারের দোকানের পিছনে লুকিয়ে ছিল দুই জঙ্গি। পর্যটকদের আসার জন্য অপেক্ষা করছিল তারা। নিরীহ পর্যটকরা সেখানে আসতেই ধর্ম জানতে চায়। পরের এক মিনিটের মধ্যে চার জনকে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা। এভাবেই ৩০ মিনিট সময়ের মধ্যে ২৬ জনকে হত্যা করে। প্রত্যক্ষদর্শী এবং নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানিয়েছেন এনআইএর তদন্তকারীরা।
শুরুতে মনে করা হচ্ছিল যে মঙ্গলবার বৈসরনে ঝটিকা আক্রমণ চালায় জঙ্গিরা। উঁচু পাহাড়ি অঞ্চল থেকে নেমে এসে অতর্কিতে এলোপাথারি গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। দ্রুত কাজ সেরে পাইন বনে উধাও হয় তারা। যদিও তদন্ত অন্য কথা জানা যাচ্ছে। যেমন, এলোপাথাড়ি গুলি চালায়নি জঙ্গিরা। ঠান্ডা মাথায় অপরেশন চালায় তারা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাজ থেকে পর্যটকদের গুলি করা হয়। আগেই একটি গোয়েন্দা রিপোর্টে উঠে আসছিল, পহেলগাঁওয়ের বেশ কিছু হোটেলে রেকি করা হয়েছিল। যদিও তদন্তকারী সংস্থা এখনও এই বিষয়ে নিশ্চিত করেনি।
তবে স্থানীয় বাসিন্দা এবং পর্যটকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিবরণ সংগ্রহ করেছে এনআইএ। কাজে আসছে হত্যাকাণ্ডের সময়ের একাধিক ভিডিও। পহেলগাঁও কাণ্ডে তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন বৈসরন উপত্যকার এক ‘জিপলাইন অপারেটর’। হামলায় তাঁর পরোক্ষ কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলওয়ামার পর জম্মু ও কাশ্মীরের মাটিতে সবচেয়ে বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে গত মঙ্গলবার। বিকেলে পহেলগাঁওয়ে এক রিসর্টে পর্যটকদের উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। প্রাণ যায় ২৬ জনের। অপারেশন চলাকালীন নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখার জন্য তাদের কাছে ছিল এনক্রিপ্টেড রেডিও ডিভাইস। যার মাধ্যমে অফলাইনে নিজেদের মধ্যে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছিল হত্যালালী চলাকালীনও। মনে করা হচ্ছে, কখন ভারতীয় সেনা কোথায় থাকছে, কোথায় তাদের ঘাঁটি আছে, কখন সেখানে পাহারা বদল হয়, সব খুঁটিনাটি তথ্য ওই ছ’জনকে দিয়েছিল আইএসআই। আরও জানা গিয়েছে, নিজেদের মধ্যে কথা বলার জন্য ভারতে নিষিদ্ধ কয়েকটি চিনা অ্যাপও ব্যবহার করত জঙ্গিরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.