ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও জঙ্গি হামলাকে কেন্দ্র করে সীমান্তের দুই পারে উত্তেজনা চরমে। এই আবহে নিয়ন্ত্রণরেখায় টানা গুলি চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। মঙ্গলবারের পর বুধবারও সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠল পাক সেনার বিরুদ্ধে। এই নিয়ে টানা ৬দিন নিয়ন্ত্রণরেখায় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। প্রতিবারই ভারতের তরফে দেওয়া হয়েছে যোগ্য জবাব।
বুধবার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত সীমান্তবর্তী নৌসেরা, সুন্দেরবানি, আখনুর সেক্টরে এলোপাথাড়ি বিনা প্ররোচনায় গুলি চালাতে থাকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। এর পর পাকিস্তানকে গুলির মাধ্যমেই মসৃণ জবাব দেওয়া হয় ভারতীয় সেনার তরফে। উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতেও কাশ্মীরের কুপওয়াড়া ও বারামুলা সেক্টরে বিনা প্ররোচনায় গুলি চালিয়েছিল পাকিস্তান। তার আগে হামলা চলে পুঞ্চে। এই হামলার সেনার তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পাকিস্তান শিমলা চুক্তি বাতিল করে শান্তি প্রক্রিয়া বিঘ্নিত করলে ভারতেরও দায় নেই তা বজায় রাখার।
প্রসঙ্গত, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ের জঙ্গি হামলায় সিংহভাগ পর্যটক-সহ ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাম্প্রতিককালে ভারতের বুকে এত বড় সন্ত্রাস সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এর নেপথ্যে পাক উসকানি দেখছে ভারত। সেইমতো প্রতিবেশী দেশকে কড়া বার্তাও দেওয়া হয়েছে। সিন্ধু জলচুক্তি বাতিল-সহ একাধিক চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। অন্যদিকে, ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বরাবর শান্তি বজায়ে ‘শিমলা চুক্তি’ বাতিল করেছে পাকিস্তান। এই আবহেই সীমান্তের দুই পারে চলছে বেলাগাম গোলাগুলি।
পাকিস্তানের তরফে এভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় ওয়াকিবহল মহল মনে করছে, উপত্যকায় সেনার তৎপরতা শুরু হওয়ার পর জঙ্গিদের নিরাপদে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতেই এই কৌশল নিয়েছে পাক সেনা। সীমান্তে ভারতীয় সেনাকে গোলাগুলিতে ব্যস্ত রাখা যাতে সেনার সামান্য অসতর্কতায় জঙ্গিরা বর্ডার পেরিয়ে অধিকৃত কাশ্মীরে ফিরে যেতে পারে। এই বিষয়টি মাথায় রেখে সতর্ক রয়েছে ভারতীয় সেনাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.