সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন ধরেই দূষিত হচ্ছে গঙ্গা। আর এই দূষণের অন্যতম কারণ গঙ্গার পাড়ে গড়ে ওঠা কলকারখানা থেকে শুরু করে বড়বড় শিল্প কারখানাগুলি। কিন্তু জানেন কি এই তালিকায় এবার নাম জড়িয়েছে বাবা রামদেবের ‘পতঞ্জলি’ সংস্থারও। মঙ্গলবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে কেন্দ্রের এডিটর অ্যান্ড কম্পট্রোলার জেনারেল বা ক্যাগ। সেখানেই তাঁরা বেশ কয়েকটি এমন সংস্থার নাম উল্লেখ করেছে, যেগুলি গঙ্গা দূষণের জন্য দায়ী। সেখানেই নাম রয়েছে পতঞ্জলিরও।
[ছোটা শাকিল কি মৃত? নয়া অডিও ক্লিপ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে]
ক্ষমতার আসার পরই গঙ্গাকে দূষণমুক্ত করার ডাক দিয়েছিল কেন্দ্র। একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপও গ্রহণ করেছিল। এছাড়া একাধিক ঘোষণাও করা হয়েছিল। কিন্তু ক্যাগ রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকার যতটা বলেছিল, ততটা কাজে করে দেখাতে পারেনি। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৮০টি সংস্থাকে শো-কজ নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি সংস্থা সেই নোটিসের জবাবও দেয়নি এবং এমনকী পরিদর্শনের জন্য ইউইপিপিসিবি (UEPPCB)-র কাছে আবেদনও করেনি। শেষপর্যন্ত আধিকারিকরা স্বেচ্ছায় পরিদর্শনে গিয়েছে। এবং তাঁদের রিপোর্টের ভিত্তিতে শো-কজ করা হয়েছে সংস্থাগুলিকে। এছাড়া যে যে সংস্থা গঙ্গা দূষণের জন্য উৎপাদন বন্ধ করতে বলা হয়েছিল, তাদের মধ্যে বেশিরভাগই চালু রয়েছে। তবে হরিদ্বারের যে পাঁচটি আশ্রমকে গঙ্গায় দূষণ ছড়ানোর জন্য বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল, তারা ইতিমধ্যে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আশ্রমে সেপটিক ট্যাঙ্কও বসিয়েছে। এছাড়া ক্যাগ রিপোর্টে আরও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যে গঙ্গার দুপাড়ে কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বিশেষ করে দেখা হচ্ছে, তীর্থযাত্রীরা যে যে ঘাটে স্নান করেন, সেখানে তাঁরা সাবান, শ্যাম্পু কিংবা তেল ব্যবহার করছেন কিনা।
[বড়দিন পালনে ফতোয়া নিয়ে মুখ খুললেন জাভেদ আখতার]
গঙ্গা দূষণকারী সংস্থার তালিকায় বাবা রামদেবের পতঞ্জলির নাম থাকার পাশাপাশি আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ক্যাগের রিপোর্টে। জানা গিয়েছে, ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে গঙ্গার দূষণ রোধের জন্য যতটা অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছিল তাঁর ৬৩ শতাংশের মধ্যে কেবল ৮ শতাংশ টাকা খরচ করা হয়েছে। বাকি অর্থ এখনও পর্যন্ত কাজে লাগায়নি কেন্দ্র বা রাজ্য সরকারগুলি। পাশাপাশি যে যে জায়গায় গঙ্গা সবচেয়ে দূষিত, তাঁর মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীর নামও।