সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাত সমুদ্দুর তেরো নদী পেরিয়ে স্বপ্নকে সত্যি করতে প্রথমবার বিমানে চেপেছিলেন পায়েল খটিক। ৯ ঘণ্টার সফর শেষে সেই স্বপ্নপূরণের দেশে পৌঁছেও যেতেন তিনি। কিন্তু বিমান টেকঅফ করার পর মাত্র ২৯ সেকেন্ডের মধ্যেই ভেঙে পড়ল স্বপ্নের উড়ান। আর কয়েক মুহূর্তেই সব শেষ হয়ে গেল রিকশা চালকের মেয়ের।
খটিক পরিবারের আসল বাড়ি রাজস্থানে। তবে কাজের সূত্রে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা গুজরাটের হিম্মতনগরে বাস করতে শুরু করেন। জানা গিয়েছে, পায়েলের বাবা সুরেশভাই খটিক রিকশা চালিয়ে মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন। এদিকে পড়াশওনার পর একটি বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ছিলেন পায়েল। সেই কোম্পানি থেকেই পড়াশোনার জন্য তাঁকে লন্ডনে পাঠানো হচ্ছিল। নিজের স্বপ্নকে প্রথমবারের মতো বিমানে চেপেছিলেন রিকশা চালকের মেয়ে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে প্রথমবারের বিমানযাত্রায় তাঁর শেষবারের বিমানযাত্রা হয়ে গেল।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিলেন পায়েল। স্কুল জীবনে বরাবর তিনি প্রথমস্থান অধিকার করে এসেছেন তিনি। বরাবর পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন পায়েল। সেই জন্য পড়াশোনা শেষ করার পর বেসরকারী সংস্থায় কাজও নিয়েছিলেন। সেই সংস্থার তরফে উচ্চতর শিক্ষার জন্য লন্ডন যাওয়র সুযোগ আসার পরে সেটা আর হাতছাড়া করেননি তিনি। তবে বিলেতে পাড়ি দিয়ে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়্ত করার আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Plane Crash) দেশের মাটিতেই সব স্বপ্ন ছাই হয়ে গেল পায়েলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.