Advertisement
Advertisement
PM Modi

আসিয়ান-ভারত সামিটে যোগ দিতে লাওসের পথে মোদি, ‘অ্যাক্ট-ইস্ট’ নীতিতে নজরে চিন

চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে পারেন মোদি।

PM Modi Embarks On 2-Day Visit To Laos For ASEAN-India and East Asia Summits
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:October 10, 2024 9:38 am
  • Updated:October 10, 2024 10:23 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার দুদিনের সফর লওস যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে ২১তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নেবেন তিনি। পাশাপাশি ১৯তম পূর্ব এশিয়া সম্মেলনও বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে থাকবেন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে লাওসে আমন্ত্রণ জানান আসিয়ান গোষ্ঠীর বর্তমান সভাপতি লাওসের রাষ্ট্রপ্রধান সোনেক্সে সিফানডোন। সূত্রের খবর, রাজধানী ভিয়েনতিয়ানে সিফানডোনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করতে পারেন মোদি। উল্লেখ্য, ‘অ্যাক্ট-ইস্ট’ নীতিতে নজরে চিন।

এদিন লাওস যাত্রার আগে প্রধানমন্ত্রী মোদি আস্থা প্রকাশ করেন, আসিয়ান-ভারত এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন সফল হবে। এই সম্মেলন আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। দিল্লি ছাড়ার আগে এক বিবৃতিতে মোদি বলেন, “কৌশলগত অংশীদারিত্বের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এবং পারস্পরিক সহযোগিতার ভবিষ্যত মজবুত করতে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসব।” প্রধানমন্ত্রীর মতে, পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন ভারতমহাসাগরীয় অঞ্চলে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির চ্যালেঞ্জগুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ দেবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, ব্রুনেই, কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম নিয়ে গঠিত আসিয়ান। ভারত এই গোষ্ঠীর আলোচক দেশ বা পরামর্শদাতা। ২১তম আসিয়ান-ভারত শীর্ষ সম্মেলনে চিনের আগ্রাসন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে চিনের মতোই ভারত রয়েছে। যাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে আসিয়ান গোষ্ঠীর ১০ দেশগুলির রাষ্ট্রপ্রধানেরা। শোনা যাচ্ছে, চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়ানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে পারেন মোদি। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে সেকথা জানানো হয়নি দুই দেশের তরফে।

উল্লেখ্য, গোটা দক্ষিণ চিন সাগর নিজের বলে দাবি করে চিন। এনিয়ে আমেরিকা, ভারত ছাড়াও চিনের লড়াই সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, জাপান এবং সুদূর ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গেও। তাদের ভূখণ্ড থেকে দেড় হাজার কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইন্দোনেশিয়ার একটি দ্বীপেও মাছ ধরার অধিকার চাইছে চিন। দক্ষিণ চিন সাগরে একাধিক দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি তৈরি করেছে বেজিং। পালটা বেজিংকে শায়েস্তা করতে সেখানে নিয়মিত যুদ্ধবিমানবাহী রণতরী পাঠাচ্ছে আমেরিকা। সব মিলিয়ে দক্ষিণ চিন সাগর ক্রমেই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এই অবস্থায় ভারত ও আসিয়ান দেশগুলির অন্যতম লক্ষ্য হল ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনের একাধিপত্য রোখা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement