Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীর কাঁটা দূরে সরিয়ে সমুদ্র সৈকতে নয়া দিশা দেখালেন মোদি-জিনপিং

পাকিস্তানের আশায় জল।

PM Modi-Xi Xinping skip Kashmir issue during discussion
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 12, 2019 2:59 pm
  • Updated:October 12, 2019 3:21 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের আশায় জল ঢেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনায় কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুললেনই না চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ফলে চিনের ইউহান প্রদেশের যে উদ্যোগ শুরু হয়েছিল সেটিই পরিণতি পেল মমল্লপুরমে সমুদ্র সৈকতের কাছে একটি রিসর্টে।

[আরও পড়ুন: মোদি-জিনপিং সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ চিনা সংবাদমাধ্যমের]

Advertisement

শনিবার দুই প্রতিবেশী দেশ সিদ্ধান্ত নিল, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ দমনে তারা একসঙ্গে লড়বে। এছাড়াও বাণিজ্য, যোগাযোগ, পর্যটন ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ককে আরও জোরাদার করে তুলবে ভারত ও চিন। চেন্নাই থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে মমল্লপুরমের কাছে একটি রিসর্টে শুক্র ও শনিবারের দু’দফার বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী মোদি ও প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের মধ্যে। আলোচনার পর দৃশ্যতই খুশি দেখা যায় দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে। প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছেন, “ইউহানের শীর্ষ সম্মেলন ভারত ও চিনের পারস্পরিক বিশ্বাস ও সম্পর্ককে জোরদার করতে বড় ভূমিকা নিয়েছিল। আর চেন্নাইয়ের এই বৈঠকে (‘চেন্নাই কানেক্ট’) দু’দেশই পারস্পরিক সম্পর্কে একটি নতুন যুগ শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর দু’দেশের প্রতিনিধিদদলের বৈঠকে এ কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। পরে সাংবাদিক সম্মেলনে একই কথা জানিয়েছেন বিদেশসচিব বিজয় গোখলে।

Advertisement

উল্লেখ্য, কাশ্মীর, আকসাই চিন, অরুণাচল সীমান্ত, ডোকলাম, তিব্বত, দক্ষিণ চিন সাগর, জিনজিয়াং, উইঘুর, তাইওয়ান, হংকং-সহ সাম্প্রতিককালের বিতর্কিত বিষয়গুলি মোদি-শি আলোচনায় কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কার্যত নয় যুগের সূচনা করে কাশ্মীর বা অরুণাচলের মতো বিতর্কিত বিষয় সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে গেলেন দুই প্রধান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আগ্রাসী সুর পালটে এবার মোদি-জিনপিং সম্পর্কের ‘রসায়ন’ নিয়ে উচ্ছ্বসিত সরকার নিয়ন্ত্রিত চিনা সংবাদমাধ্যমও। বলে রাখা ভাল, কড়া হাতেই সংবাদমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত করে কমিউনিস্ট চিন। এছাড়া, গ্লোবাল টাইমস সরকারেরই মুখপাত্র। ফলে বেজিংয়ের নীতি প্রতিফলিত হয় সেটির প্রতিবেদনে। তাই বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কয়েক দশকের টানাপোড়েন পিছনে ফেলে এবার নয়াদিল্লির সঙ্গে বরফ গলাতে তৎপর হয়েছে বেজিং।

[আরও পড়ুন: মোদির সঙ্গে দক্ষিণী ব্যঞ্জন খেলেও পাকিস্তানকে ৩০০টি ট্যাঙ্ক দিচ্ছেন চিনা প্রেসিডেন্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ