Advertisement
Advertisement

১৩ ঘণ্টা ধরে আটটা হাসপাতাল ঘুরেও মিলল না ঠাঁই, অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু অন্তঃসত্ত্বার

ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

Pregnant woman dies in ambulance after running between hospitals for 13 hours

ছবি: প্রতীকী

Published by: Bishakha Pal
  • Posted:June 6, 2020 10:43 pm
  • Updated:June 6, 2020 10:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা ১৩ ঘণ্টা হাসপাতালের দরজায় দরজায় ঘুরলেন গর্ভবতী মহিলা। কিন্তু মিলল না স্থান। অবশেষে অবসন্ন হয়ে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আট মাসের সেই গর্ভবতী মহিলা। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে গ্রেটার নয়ডার একটি হাসপাতালের বাইরে। শনিবার খবরটি প্রকাশ্যে আসে। ঘটনায় গৌতম বুদ্ধ নগর জেলা প্রশাসন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার নাম নীলম। বয়স ৩০ বছর। তাঁর স্বামী বিজেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, নীলম আট মাসের গর্ভবতী ছিলেন। প্রেগন্যান্সির কারণে আচমকাই তাঁর সমস্যা শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে নীলমকে হাাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু করেন। কিন্তু সরকারি হাসপাতাল-সহ আটটি হাসপাতালের দরজার ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি। প্রতিটি হাসপাতালের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় নীলমকে কোনওভাবেই ভরতি নেওয়া সম্ভব নয়। শেষে একটি হাসপাতালের বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই মারা যান নীলম। জানা গিয়েছে, প্রেগন্যান্সির সময় শিবালিক হাসপাতালে নীলমের চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু এদিন সেই হাসপাতালও তাঁকে ভরতি নিতে অস্বীকার করে। 

Advertisement

[ আরও পড়ুন: করোনার জেরে হজযাত্রা বাতিলের সম্ভাবনা, তীর্থযাত্রীদের পুরো টাকা ফেরাবে কেন্দ্র ]

বিজেন্দ্র বলেন, “আমরা প্রথমে ইএসআই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এরপরে আমরা সেক্টর ৩০-এর একটি শিশু হাসপাতালে (শিশু পিজিআই) যাই। সেখান থেকে আমরা সারদা হাসপাতাল এবং তারপরে গ্রেটার নয়ডার গর্ভমেন্ট ইন্সটিটিউড অফ মেডিকেল সায়েন্সে (জিআইএমএস) গিয়েছিলাম। সবাই তাঁকে ভরতি নিতে অস্বীকার করে।” এছাড়া গৌতম বৌদ্ধ নগরের জেপি হাসপাতাল, ফোর্টিস হাসপাতালে এবং গাজিয়াবাদের বৈশালীর ম্যাক্সে প্রাইভেট ফ্যাক্টরিতে নীলমকে ভরতির চেষ্টা করা হয়। তারাও ভরতি নেয়নি বলে অভিযোগ। শেষে জিএমএস হাসপাতালে পৌঁছনোর পর নীলমকে ভেন্টিলেটর দেওয়া হয়। কিন্তু এতগুলো হাসপাতাল ঘোরার ধকল তিনি আর নিতে পারেননি। মৃত্যু হয় তাঁর। ঘটনায় গৌতম বৌদ্ধ নগর জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস এল ওয়াই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অ্যাডিশনাল ডিএম মুনীন্দ্র নাথ উপাধ্যায় এবং প্রধান মেডিক্যাল অফিসার দীপক ওহরি ঘটনার তদন্ত করবেন।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: সীমান্ত বিবাদ নিয়ে শেষ ভারত-চিন সামরিক বৈঠক, উৎকণ্ঠা বাড়ছে সাউথ ব্লকে ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ