Advertisement
Advertisement

Breaking News

CAB নিয়ে উত্তাল অসম, পিছিয়ে দেওয়া হল গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা

বনধ ও প্রতিবাদের জেরে অসমে জনজীবন বিপর্যস্ত।

Protest against Citizenship Amendment Bill in Assam intensifies
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:December 10, 2019 11:53 am
  • Updated:December 10, 2019 3:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের প্রতিবাদে মঙ্গলবারও উত্তাল অসম ও ত্রিপুরা। পাশাপাশি NESO-র (নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন) ডাকা বনধ প্রভাব ফেলেছে গোটা অঞ্চলে। বিশেষ করে বনধ ও প্রতিবাদের জেরে অসমে জনজীবন বিপর্যস্ত।

জানা গিয়েছে, অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে শুরু করে বঙ্গাইগাঁও, গোলঘাট, তিনসুকিয়া, ডিব্রুগঢ়, জোরহাট মজুলি-র মতো জেলাগুলিতে বনধ সর্বাত্মক। সোমবার একাধিক দোকানপাটে ভাঙচুর চালায় বিক্ষোভকারীরা। ডিব্রুগড়ে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন উলফা-র পতাকা উত্তোলন করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এদিকে বরপেটায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি রঞ্জিত দাস ও ডিব্রুগড়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোওয়ালের বাড়ির সামনেও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। গোলঘাট ও তিনসুকিয়া জেলায় রাস্তায় অমিত শাহ-র কুশপুত্তলিকা পোড়ান হয়। উপমুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে বিশ্বাসঘাতক আহোম সেনাপতি বদন বরফুকনের সঙ্গে তুলনা করে বিক্ষোভকারীরা। উল্লেখ্য, আহোম সাম্রাজ্যের সেনপতি ছিলেন বদন বরফুকন। তবে রাজার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে বার্মিজ সেনাকে অসম আক্রমণ করার পথ দেখিয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই মিরজাফরের সঙ্গে এক সারিতেই রাখা হয় বদনকে। বিক্ষোভকরীদের অভিযোগ, হিমন্ত বিশ্বশর্মাও এবার অসম দখলের জন্য বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। এদিকে, গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রেখে গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

Advertisement

এদিকে, বাংলাভাষী অধ্যুষিত বরাক উপত্যকা ও আদিবাসী অধ্যুষিত কারবি আংলং এবং ডিমা হাসাও জেলাগুলিতে বনধের তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। মেঘালয়ের রাজধানী শিলং ও ত্রিপুরাও রাজধানী আগরতলাতেও এদিন বিক্ষোভ চলছে। মণিপুরেও দেখা গেল সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র। রাজ্যটিকে ইনার লাইন পার্মিট বা আইএলপি-র আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণার পরই মণিপুরবাসীর মধ্যে তুমুল উচ্ছ্বাস দেখা দেয়।

Advertisement

উল্লেখ্য, বিরোধীদের তুমুল প্রতিবাদের মাঝেও সোমবার মধ্যরাতে লোকসভায় পাশ হয়ে গিয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিলটির পক্ষে ভোট পড়েছে ৩১১টি। বিপক্ষে ভোট পড়েছে মোটে ৮০টি। বিরোধীদের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সংখ্যাবলে সহজেই বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে বিজেপি। বিল পাশের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিলটি পাশ হওয়ার আগে কংগ্রেসের তরফে একাধিক ইস্যুতে বিরোধিতা করা হয়। এই বিলকে সংবিধান বিরোধী এবং ধর্মীয় বিভাজন সৃষ্টিকারী বলে তোপ দাগে কংগ্রেস। একই সুর শোনা যায় তৃণমূলের কণ্ঠেও। অন্য বিরোধীরাও সরব হয় বিলের বিপক্ষে। কিন্তু, আশ্চর্যজনকভাবে ভোটাভুটির সময় দেখা যায় মাত্র ৮০টি ভোট বিপক্ষে পড়েছে।

[আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে সমর্থনের জের, নিজের দলকেই তোপ প্রশান্ত কিশোরের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ