ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানসিক চিকিৎসার নামে একের পর এক যুবতী ও নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ! টানা ১৫ বছর ধরে এই কুকীর্তি চালানোর পর অবশেষে পুলিশের জালে ৪৭ বছর বয়সি মনোবিদ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানসিক চিকিৎসার নামে প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে ক্যাম্প করতেন অভিযুক্ত ওই মনোবিদ। বান্দারা, গোন্ডিয়ার মতো জায়গায় বসত এই সব ক্যাম্পে। সেখানে কাউন্সেলিং করানোর নামে নাবালিকাদের ধর্ষণ ও যৌন নিগ্রহ করতেন অভিযুক্ত। বছরের পর বছর ধরে চলছিল এই কাণ্ড। শুধু তাই নয় অভিযোগ, কুকীর্তি চালানোর সময় নির্যাতিতাদের গোপন ছবি ক্যামেরাবন্দি করে পরে সেই ছবি দেখিয়ে তাঁদের ব্ল্যাকমেল করা হত। পরে নির্যাতিতার বিয়ে হয়ে গেলেও সেই গোপন ছবি হাতিয়ার করে ব্ল্যাকমেল ও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
বাইরে ক্যাম্প চালানোর পাশাপাশি নিজের এলাকাতেও একাধিক মহিলাকে এভাবে ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক। নিজের এক ছাত্রীর সঙ্গেও একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল অভিযুক্ত চিকিৎসক। লাগাতার ওই মনোবিদের দ্বারা ব্ল্যাকমেল, হুমকি ও ধর্ষনের শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত হুদকেশ্বর থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। গ্রেপ্তার করা হয় অভিযুক্তকে। এরপরই প্রকাশ্যে আসে গোটা ঘটনা।
পুলিশের দাবি, নাবালিকার পাশাপাশি অসংখ্য তরুণী ও গৃহবধূকেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে ওই মনোবিদের বিরুদ্ধে। যারা এই নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাঁদের সকলকে পুলিশের তরফে আবেদন জানানো হচ্ছে এগিয়ে আসার জন্য। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের পাশাপাশি পকসো আইন ও তপসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনার তদন্ত চলছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.