সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইভিএম ইস্যুতে রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝেই এবার কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ বিজেপির। শনিবার সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির তরফে জানানো হল, ‘ইভিএমের প্রতি যদি ভরসা না থাকে তাহলে রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ সব কংগ্রেস নেতাদের উচিৎ ইস্তফা দেওয়া। এবং প্রকাশ্যে জানান, যতদিন না ব্যালটে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ততদিন তাঁরা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।’
শনিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেন, ‘যদি কংগ্রেস নেতারা মন থেকে বিশ্বাস করেন যে ইভিএমে কারচুপি হয়েছে, সেক্ষেত্রে তাঁদের ইস্তফা দিতে ইতস্তত করা উচিৎ নয়। কংগ্রেসের তরফে ইভিএম নিয়ে যে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা। এর মধ্যে সামান্যতমও সত্যি নেই। কোনও প্রমাণ ছাড়া ইভিএমকে দোষারোপ করা ওদের জন্য সহজ। ওরা চাইলে আদালতে যাক। আপনারা যদি মন থেকে বিশ্বাস করেন ইভিএমে কারচুপি করা হয় তাহলে সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে চলে যান।’ একইসঙ্গে জানান, ‘আগেই অবশ্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে ঘুরে এসেছে কংগ্রেস। যেখানে ওদের দাবি খারিজ হয়েছে। তার পরও লাগাতার মিথ্যে ছড়িয়ে চলেছে।’
এর পরই সুর চড়িয়ে বিজেপি মুখপাত্র বলেন, “যদি কংগ্রেসের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে ভরসা না থাকে সেক্ষেত্রে রাহুল, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের সব সাংসদ ও মুখ্যমন্ত্রীদের উচিৎ ইস্তফা দিয়ে দেওয়া। কারণ তাঁরা এই ইভিএমের মাধ্যমেই নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। এবং প্রকাশ্যে তাঁদের জানানো উচিৎ যতদিন না ব্যালট পেপারে নির্বাচন হচ্ছে ততদিন তাঁরা কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।”
উল্লেখ্য, হরিয়ানার পাশাপাশি মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে হারের পর ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী শিবির। হরিয়ানা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ জানিয়েছিলেন, হরিয়ানার তিন জেলায় ভোট গণনার প্রক্রিয়া এবং ইভিএম নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন রয়েছে। আরও এই ধরনের অভিযোগ এসেছে। ইভিএমকে ব্যবহার করে আমাদের হাত থেকে জয় ছিনিয়ে নেওয়া হল। এই ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লেখে কংগ্রেস। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। মহারাষ্ট্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। কংগ্রেসের পাশাপাশি শিবসেনা (উদ্ধব) শিবিরের সাংসদ সঞ্জয় রাউত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, ইভিএমে কারচুপি করে হারানো হয়েছে তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.