ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হলে এতদিনে পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতের দখলে চলে আসত’, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করে এই ভাষাতেই সরব হলেন কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। শুধু তাই নয়, ভারত-পাক সংঘর্ষ শুরুর মাত্র ৪ দিনের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি। ‘তাড়াহুড়ো’ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর।
এক জনসভায় নরেন্দ্র মোদির তীব্র সমালোচনা করে রেবন্ত রেড্ডি বলেন, “মোদি হলেন বাতিল হয়ে যাওয়া হাজার টাকার নোটের মতো। যদি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হতেন তবে এতদিনে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আমরা দখল নিয়ে নিতাম।” তাঁর আরও দাবি, রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে এই যুদ্ধ হলে তা হত ১৯৭১ সালে ইন্দিরা গান্ধীর নেতৃত্বে চলা যুদ্ধের মতো। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন এবং আমেরিকাকেও পালটা হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আজ ভারতের এমন একজন নেতৃত্বের প্রয়োজন রয়েছে। অথচ আজ চিন আমাদের ৪ হাজার স্কোয়ার কিলোমিটার জমি দখল করেছে, আমাদের কর্নেল সুরেশ বাবুকে হত্যা করল, অথচ আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিরব।”
শুধু তাই নয়, যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী সর্বদল বৈঠক ডাকলেন, অথচ সংঘর্ষবিরতির সময় কেন সেই কাজ করলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রেড্ডি। রাহুলের সুরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, “এই যুদ্ধে কতগুলি রাফালে বিমান ধ্বংস হয়েছে? কেন এই বিষয়ে কেউ কোনও কথা বলছেন না?” দেশের নাগরিক ও রাজনৈতিক দলগুলির বারবার আবেদন সত্ত্বেও পাক অধিকৃত কাশ্মীর পুনরুদ্ধারে ব্যর্থতা জন্য মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয়েছিল ২৬ জনের। সেই মৃত্যুর বদলা নিতে ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘরে হামলা চালায় ভারত। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন সিঁদুর। যার জেরে দুই দেশের সামরিক উত্তেজনা চরম আকার নেয়। পাক সীমান্তবর্তী রাজ্য জম্মু-কাশ্মীর, থেকে গুজরাট পর্যন্ত ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় পাকিস্তান। যদিও তাদের সে হামলা রুখে দেয় ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। এরপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাকিস্তানের ১১টি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালায় ভারত, চাপের মুখে পড়ে ভারতের কাছে সংঘর্ষবিরতির প্রস্তাব পাঠায় পাকিস্তান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.