Advertisement
Advertisement

খাস রেল ভবনেই ভুয়ো ইন্টারভিউ-নিয়োগপত্রের ব্যবস্থা, দুর্নীতির জাল গভীরে

বাঘের ঘরেই কি তবে ঘোগের বাসা?

Railways probing fake job interviews in Rail Bhawan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 12, 2018 12:14 pm
  • Updated:January 12, 2018 12:14 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কী বলবেন একে? বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা, না কি অন্য কিছু। খাস রেল ভবনের মধ্যে চলছে জালিয়াতি চক্র। সেখানে দিব্যি ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। এমনকী দেওয়া হয় অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটারও। দুর্নীতির শিকড়ের খুঁজতে গিয়ে চোখ কপালে উঠছে তদন্তকারীদের। তারা জানতে পেরেছেন গোটা বিষয়টিই জাল।

[সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে বেনজির বিদ্রোহ ৪ বিচারপতির]

Advertisement

রেল স্টেশন থেকে অফিস। সর্বত্র জ্বলজ্বল করছে ঘুষ দেবেন না, ঘুষ নেবেন না। রেলের চাকরিতে দুর্নীতির খবর পেলেই অমুক নম্বর ফোন করে জানান। দুর্নীতি আটকানোর এই প্রচার যে কথার কথা, তা আরও একবার প্রমাণ হল রেল ভবনের ঘটনায়। ভারতীয় রেলের সদর দপ্তর এই রেল ভবন। সেখানেই রমরমিয়ে চলছে দুর্নীতি। চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে তাদের ডাকা হয় রেলভবনে। এমনকী টিকিট কালেক্টর পদের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সদ্য প্রাক্তন হওয়া রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভুর সই করা নিয়োগপত্র। রেল সূত্রে খবর, এমাসের গোড়ায় সাত ব্যক্তি রেলের তরফে জাল নিয়োগপত্র পান। এরপর তাঁরা চাকরির আশায় চলে যান দিল্লিতে রেলের ডিভিশনাল হেড কোয়ার্টারে। অফিসের নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের আটকালে এই নিয়ে বিতণ্ডা বাধে। ইতিমধ্যে রাজ কুমার নামে এক যুবক বিষয়টি নিয়ে পার্লামেন্ট স্ট্রিট থানায় এফআইআর করেন। যেখানে ওই যুবক জানায় ভূষণ শর্মা নামে এক ব্যক্তি টিকিট কালেক্টর পদের জন্য তাঁর থেকে ৫ লাখ টাকা নেন। এমনকী রেল ভবনে তাঁর ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। প্রক্রিয়াটি যে লোকদেখানো নয়, তা বোঝাতে রাজকে ১০টি প্রশ্নও করা হয়েছিল। রাজ এবং বাকি সাতজনের অভিযোগের ভিত্তিতে রেল তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

[ধর্ষণ করে মহিলারাও, তাদের সাজা নয় কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টে]

তদন্ত জানা গিয়েছে রেল ভবনের ৯ নম্বর ঘরে ইন্টারভিউ নেওয়া হয়। তদন্তকারীরা সমস্যায় পড়েছেন কারণ ওই ঘরে কোনও সিসিটিভি ছিল না। গ্রাউন্ড ফ্লোরে রিসেপশনের পাশেই ওই ঘর। প্রকাশ্যে এমন একটি জায়গায় কীভাবে দুর্নীতির জাল ছড়াল তা নিয়ে ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। চক্রের মাথা খুঁজতে গত তিন মাসে রিসেপশন চত্বরের সিসিটিভি ফুটেজ চাওয়া হয়েছে। রাজ কুমারের নিয়োগপত্রে নাম রয়েছে রাজেশ গুপ্তা নামে আরও একজনের। ওই যুবক যে চাকরি পাচ্ছেন তা নিশ্চিত করতে ভুয়ো নিয়োগপত্রর পাশাপাশি মেডিক্যাল পরীক্ষাও করা হয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের এই চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট হাতে আসার পর নড়েচড়ে বসেছে রেল। তবে এই তৎপরতা কত দিন চলবে তা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ