সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিনেমাহলে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক করা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। জাতীয় সংগীত চলাকালীন না দাঁড়ালেই যে কাউকে দেশদ্রোহী ট্যাগ দিয়ে দেওয়া যায় না, তাও মনে করিয়ে দিতে হয়েছে সুপ্রিম কোর্টকে। তবু জাতীয়তাবোধের বিস্তারে কোনও ঘাটতি নেই। এবার তাই নয়া উদ্যোগ রাজস্থানের বসুন্ধরা রাজে সরকারের।
[ PoK ছেড়ে আগে লালচকে তেরঙ্গা উড়িয়ে দেখাক, কেন্দ্রকে চ্যালেঞ্জ ফারুক আবদুল্লাহর ]
দেশভক্তি ও জাতীয়তাবোধের ভিতর সূক্ষ্ম ফারাক আছে। বিশেষজ্ঞদের আলোচনায় প্রায়শই তা উঠে আসে। তবে আপাতত সে আলোচনা তুলে রেখে, সব পথ গিয়ে মিশেছে জাতীয় সংগীতে। আর তাই জাতীয় সংগীতকে সামনে রেখেই বিভিন্ন স্থানে দেশভক্তির জোয়ার আনার চেষ্টা চলছে। এর আগে বিভিন্ন রাজ্যের মাদ্রাসাগুলির ক্ষেত্রেও এ নিয়ম বলবত করা হয়েছিল। এক ধাপ এগোল রাজস্থানের বিজেপি শাসিত সরকার। রাজ্যের প্রায় ৮০০টি হস্টেলে বাধ্যতামূলক করা হল জাতীয় সংগীত। ঠিক সকাল সাতটায় প্রায় চল্লিশ হাজার আবাসিক পড়ুযাকে তা নিয়মিত গাইতে হবে। রাজ্যের ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ণ (সোশ্যাল জাস্টিস অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট) দপ্তরের তরফে নোটিশ দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। এই দপ্তরের অধীনে এসসি, এসটি ও ওবিসি সকালের প্রার্থনার সময়ই জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক। চলতি সপ্তাহতেই তা কার্যকর হয়েছে।
[ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও মোবাইলে আধার যোগের সময়সীমা বাড়াতে রাজি কেন্দ্র ]
এর আগে জয়পুর পুরসভায় কর্মীদের সকালে জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। সন্ধের জন্য বরাদ্দ ছিল বন্দে-মাতরম। এমনকী সিটি মেয়র জানিয়েছিলেন, যাঁরা গাইতে চাইবেন না, তাঁরা পাকিস্তানেও চলে যেতে পারেন। গত বছর রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রক স্কুলে সূর্য নমস্কার বাধ্যতামূলক করেছিল। পরে অবশ্য চাপের মুখে তা ঐচ্ছিক করে দেওয়া হয়। নয়া নিয়ম নিয়ে অবশ্য এখনও কোনও বিতর্ক জাগেনি। জাতীয় সংগীতকে হাতিয়ার করেই দেশপ্রেমের গণ উণ্মেষের অপেক্ষায় বসুন্ধরা রাজে সরকার।
[ যোগীর রাজ্যে ‘অপরাধ’-এর মাশুল, চার দিনের জেল হেফাজত গাধার ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.