সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাভ জেহাদের বিরুদ্ধে বার্তা? নাকি একেবারে ঠান্ডা মাথার খুন? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি দেখতে দেখতে শিউরে উঠেছে দেশবাসী। আর এ প্রশ্নই ক্রমাগত উঠে এসেছে। তার থেকেও বড় প্রশ্ন, এই ভয়াবহ ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করলই বা কে? জানা যাচ্ছে, মালদহের শ্রমিক আফরাজুলকে খুনের ভিডিওটি করেছে ১৪ বছরের এক কিশোর। যে অভিযুক্ত শম্ভু রেগারের ভাইপো।
[ রাজস্থানে আফরাজুলের হত্যার ভিডিও দেখে অজ্ঞান স্ত্রী, ফাঁসির দাবি মেয়ের ]
মালদার প্রৌঢ় আফরাজুল। কাজের সন্ধানে রাজস্থানে গিয়েছিলেন। সেখানেই গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। তারপর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় পেট্রল দিয়ে। শেষ হুমকি, লাভ জেহাদের এরকমই মর্মান্তিক পরিণতি হবে। ভিডিও দেখে বুকে কাঁপন ধরেছিল সভ্য মানুষের। এই একবিংশ শতাব্দীতেও এরকম বর্বরোচিত হত্যা ঘটতে পারে? প্রশ্ন উঠলেও, উত্তর আরও সহজ। কারণ ভিডিও প্রমাণ দিচ্ছে, একেবারে ঠাণ্ডা মাথাতেই হত্যা করা হয়েছে আফরাজুলকে। সেইসঙ্গে মানুষকে বিভ্রান্ত করারও চেষ্টা করা হয়েছে। লাভ জেহাদ বলে যা চালানো হয়েছে তা সর্বৈব মিথ্যা। সে দাবি উড়িয়ে দিয়েছে নিহত আফরাজুলের পরিবারও। মালদহের বাড়িতে আফরাজুলের স্ত্রী-কন্যা রয়েছেন। অন্য মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। সুতরাং প্রেম বলে যা বলা হয়েছে তা মিথ্যা। স্রেফ বিদ্বেষের বশেই খুন করা হয়েছে ওই শ্রমিককে। লাভ জেহাদের নাম করে গা বাঁচাতে চেয়েছিল অপরাধী। আর এই পুরো হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি তুলেছিল হত্যাকারী শম্ভু রেগারের ভাইপো। চোদ্দ বছরেরে কিশোরের হাত এতটুকু কাঁপেনি। যা আরও নাড়িয়ে দিচ্ছে দেশবাসীকে। শম্ভু তো অপরাধীই। কিন্তু যে প্রজন্মকে সে তৈরি করে দিয়ে যাচ্ছে, যে কিশোর আগাগোড়া খুনের ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করতে পারে, সে কিছু কম ভয়াবহ। সেই অনাগত ভবিষ্যতের কথা ভেবেও শিউরে উঠছেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ।
[ ‘মাকে প্রণাম না করে কি আফজল গুরুকে করবেন’, প্রশ্ন উপরাষ্ট্রপতির ]
ডিজিপি ও পি গেলহোত্রা জানাচ্ছেন, এ একেবারে ঠাণ্ডা মাথার খুন। পুলিশ এই ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করছে। কেননা বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘচনারই পর্যায়ে পড়ে এই হত্যা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শম্ভুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যে সময় পুলিশ তাকে জালে তোলে, তখন স্কুটিতে চেপে মন্দিরে যাচ্ছিল ওই হ্ত্যাকারী। পুলিশি জেরায় একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। যত সময় গড়াচ্ছে, তত শম্ভুর মধ্যে এক নৃশংস হত্যাকারীর সন্ধান পাচ্ছে পুলিশ। ‘সাইকো’ শম্ভুর কাণ্ড চমকে দিচ্ছে দুঁদে পুলিশ অফিসারদেরও। বসুন্ধরা রাজে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই এ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। হ্ত্যাকারীর প্রকাশ্যে ফাঁসি দাবি করেছে নিহত আফরাজুলের পরিবার।
[ বেআইনি মদ রোখার বদলা, দিল্লিতে নগ্ন করে ঘোরানো হল মহিলা কমিশনের সদস্যকেই ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.