সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজা শোনাল যোধপুরের বিশেষ আদালত। নাবালিকা ধর্ষণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হল স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপুর।
[ ১৩ বছরের কিশোরীকে মদ্যপান করিয়ে প্রেমিককে দিয়ে ধর্ষণ করাল আত্মীয়া ]
২০১৩ সালে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে স্বঘোষিত ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে। পুলিশের পেশ করা চার্জশিটে ধর্ষণের অভিযোগ স্পষ্ট ছিল, যদিও বিভিন্ন সময় মামলাকে প্রভাবিত করার বিস্তর চেষ্টা করা হয়েছে। খুন হয়েছেন মামলার সাক্ষীরা। তাতেও অবশ্য শেষরক্ষা হয়নি। বুধবার যোধপুরের বিশেষ শিডিউল কাস্ট ও ট্রাইব আদালতে ওঠে এই মামলা। সে উপলক্ষে গোটা যোধপুরকেই প্রায় দুর্গের চেহারা দেওয়া হয়। মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তায়। হাতের সামনেই আছে গুরমিত কাণ্ডের নিদর্শন। স্বঘোষিত সেই ধর্মগুরুকে ধর্ষণের সাজা দিতে গিয়ে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল গোটা হরিয়ানা। রাজস্থানে আর তার পুনরাবৃত্তি চাইছিল না কেন্দ্র। ফলে রাজস্থান-সহ হরিয়ানা ও অন্যান্য পাশ্ববর্তী রাজ্যের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। দেশ জুড়ে প্রায় শ-চারেক আশ্রম আছে আসারামের। ভক্তসংখ্যাও কম নয়। তাই গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিলই। রায় ঘোষণার পর কোনও হিংসার ঘটনা যাতে না ঘটে তার জন্য নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করেই রাখা হয়েছিল।
[ নাবালিকা ধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত স্বঘোষিত ধর্মগুরু আসারাম বাপু ]
প্রত্যাশামতোই এদিন আদালত আসারাম ও তার সঙ্গীদের দোষী সাব্যস্ত করে। নাবালিকা ধর্ষণের জেরে ন্যূনতম দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন সাজা হতে পারত আসারামের। পকসো আইনের আওতাতেই যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে আসারামকে দণ্ডিত করল আদালত। জানা যাচ্ছে, শাস্তি শোনার পর জেলের মধ্যেই ভেঙে পড়েন সাতাত্তর বছর বয়সি ধর্মগুরুর। তার সঙ্গীদের মধ্যে দু’জনকে ২০ বছর করে জেলের সাজা দেওয়া হয়। আসারাম দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরই নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছিলেন, এতদিনে সুবিচার মিলেছে। লড়াইয়ে যাঁরা পাশে ছিলেন তাঁদের ধন্যবাদও জানিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছিলেন। এদিন আদালত সাজা ঘোষণার পর তিনি জানান, তাঁর মেয়েই এই মুহূর্তে সবথেকে সুখী মানুষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.