সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : নীরব মোদির ঘটনা থেকে হাড়ে হাড়ে শিক্ষা নিয়ে এবার বিক্রম কোঠারিকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই। রোটোম্যাক কর্তা আটক হয়েছিলেন দিন কয়েক আগেই। এবার কাগজেকলমে সিবিআইয়ের জালে বিক্রম ও তাঁর পুত্র।
[ একা হাতে সুপারসনিক ফাইটার জেট ‘বাইসন’ উড়িয়ে ইতিহাস অবনীর ]
নীরবের মতো রাঘব বোয়াল না হলেও, চুনোপুঁটিও কিন্তু নন রোটোম্যাক পেন কোম্পানির কর্তা বিক্রম। তাঁর বিরুদ্ধেও রয়েছে বড় অঙ্কের টাকার ঋণখেলাপি হওয়ার অভিযোগ। গত কয়েকদিনে এই খবর দেশের মানুষের কাছে পরিচিত। কয়েকদিন ধরে বিক্রম ও তাঁর ছেলে রাহুলকে নাগাড়ে জেরা চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার পদস্থ কর্তারা। কিন্তু বাবা-ছেলে দু’জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠেছে তদন্তের কাজে সহযোগিতা না করার। ফলে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়ামকে প্রতারণা করার অভিযোগে রোটোম্যাক কর্তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩৬৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তার মধ্যে ২৯১৯ কোটি টাকা অন্যত্র পাচার করার অভিযোগও রয়েছে। সাতটি ব্যাঙ্কের কনসর্টিয়াম থেকে তাঁরা ঋণ নেন বলে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছে সিবিআই।
[ মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন স্বচ্ছ ভারতের ‘ম্যাসকট’ কুনওয়ার বাঈ ]
বিক্রমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর-এ বলা হয়েছে, ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া থেকে ৭৫৪.৭৭ কোটি, ব্যাঙ্ক অফ বরোদা থেকে ৪৫৬.৬৩ কোটি, ইন্ডিয়ান ওভারসিজ ব্যাঙ্ক থেকে ৭৭১.০৭ কোটি, ইউবিআই থেকে ৪৫৮.৯৫ কোটি, এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক থেকে ৩৩০.৬৮ কোটি, ব্যাঙ্ক অফ মহারাষ্ট্র থেকে ৪৯.৮২ কোটি এবং ওরিয়েন্টাল ব্যাঙ্ক অফ কমার্স থেকে ৯৭.৪৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে বিক্রমের রোটোম্যাক সংস্থা। এছাড়া বিক্রম ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফ থেকে বেআইনিভাবে সুদে টাকা খাটানো প্রতিরোধ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবারই ইডি-র তরফে দেশের সমস্ত সড়ক, বন্দর ও বিমানবন্দরে নির্দেশিকা পাঠানো হয়, বিক্রম, তাঁর স্ত্রী সাধনা এবং পুত্র রাহুল যাতে কোনওভাবেই দেশের বাইরে না যেতে পারেন সেই বিষয়ে নজর রাখার জন্য। তখনই আভাস পাওয়া যায় যে শীঘ্রই হয়তো রোটোম্যাক কর্তাকে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই।
[ দুঃস্থ মহিলাদের বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন দিতে এবার দেশে ‘প্যাড ব্যাংক’ ]
মাঝে একবার খবর ছড়িয়ে পড়ে, নীরব ও মেহুলের মতো বিক্রম কোঠারিও হয়তো দেশ ছেড়েছেন গোপনে। কিন্তু তার পরেই বিক্রমকে আটক করে সেই পথ বন্ধ করে সিবিআই। বিক্রম নিজেও বিবৃতি দিয়ে জানান যে তিনি বরাবরই কানপুরের বাসিন্দা এবং তিনি শহরেই থাকছেন। যদিও ব্যবসার কাজে তাঁকে মাঝে মাঝেই বাইরে যেতে হয় বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেন বিক্রম। বিক্রমের বাবা মনসুখভাই কোঠারি জনপ্রিয় পানমশলা পানপরাগের মালিক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ভাই দীপক পানমশলার ব্যবসার দায়িত্ব নেন। বিক্রম নেন পেন ও স্টেশনারি বিভাগের দায়িত্ব। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসেই তাঁকে ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.