সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই বনাম সিবিআই বিতর্কে এমনিতেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল, এবার তা আরও তলানিতে নেমে গেল। অন্তর্ঘাত তো রয়েইছে, দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থার অভ্যন্তরে গোপনীয়তারও বালাই নেই, অন্তত সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে তেমনটাই প্রমাণিত হল বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।সিভিসির তদন্ত রিপোর্টের জবাবে অলোক ভার্মার যে হলফনামা মুখবদ্ধ খামে জমা পড়ার কথা ছিল, সর্বোচ্চ আদালতে, তা একদিন আগেই ফাঁস হয়ে গেল সংবাদমাধ্যমে। স্বাভাবিকভাবেই সর্বোচ্চ আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়তে হল সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার আইনজীবীকে।
[সুর নরম শীর্ষ ব্যাংকের, কেন্দ্র-আরবিআই বৈঠকে বিরোধ শেষের ইঙ্গিত]
ছুটিতে পাঠানোর কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মা। এদিকে, অলোক ভার্মার বিরুদ্ধে পালটা আইআরসিটিসি মামলায় তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ ওঠে সিভিসির তদন্তে। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সিবিআই ডিরেক্টরের কাছে হলফনামা তলব করেছিল সর্বোচ্চ আদালত। এর আগের শুনানিতে বলা হয়েছিল, দশ দিনের মধ্যে মুখবদ্ধ খামে হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে। গতকাল দুপুর ১টায় ছিল সেই রিপোর্ট জমা দেওয়ার ডেডলাইন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেই হলফনামা জমা করাতে পারেননি অলোক ভার্মা। আদালতের কাছে বাড়তি সময় চেয়ে নেন তিনি। তাঁকে তিন ঘণ্টা অতিরিক্ত সময় দেয় আদালত। অবশেষে, গতকাল বিকেল চারটেয় মুখবদ্ধ খামে রিপোর্ট জমা পড়ে শীর্ষ আদালতের কাছে। কিন্তু আদালতে পেশ হওয়ার আগেই তা ফাঁস হয়ে যায় সংবাদমাধ্যমে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যম আইআরসিটিসি মামলায় ঢিলেমির জন্য অলোক ভার্মার দায়ের করা হলফনামা প্রকাশ করে দেয়।
[‘আগে মন্দির-পরে সরকার’, বিজেপির বিরুদ্ধে নয়া স্লোগান শিব সেনার]
এই ঘটনায় যথারীতি ক্ষুদ্ধ আদালত। অলোক ভার্মার আইনজীবী ফলি এস নরিমানকে মঙ্গলবার তিরস্কার করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি প্রশ্ন তোলেন, “আদালত যখন মুখবদ্ধ খামে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল তখন সংবাদমাধ্যমে কীভাবে সেই রিপোর্ট ফাঁস হল?” ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, “আপনারা কেউ এই মামলার আগাম শুনানির যোগ্য নন।” এরপরই আগামী ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত মামলা স্থগিত করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট।