সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে জিতলেও জনপ্রিতনিধিরা বিভিন্ন কারণে তাদের আসন ছেড়ে দেন। হয় তারা দুটি আসনে প্রার্থী হন। কিংবা কেউ বিধানসভা জেতার পর লোকসভায় যান। আবার অন্যকিছুও ঘটে। এই সমস্ত কারণে উপনির্বাচন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। দেশের নানা প্রান্তে এমন সব অকাল নির্বাচনে বেজায় বিরক্ত সুপ্রিম কোর্ট। এই নিয়ে কেন্দ্রের ব্যাখ্যা চাইল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানায় বারবার ভোটে করদাতাদের অর্থের অপচয় হচ্ছে।
[ট্রেনে বসেই বিমানযাত্রার ‘অনুভূতি’ পাবেন শতাব্দীর নতুন কামরায়]
সম্প্রতি এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সোমবার আদালত জানায় একই আসনে ফের ভোট করা মানে তা আসলে অপচয়ের শামিল। সাধারণ মানুষের করের টাকায় কেন নতুন করে নির্বাচন করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশন আদালতে জানায় ২০০৪ এবং ২০১৬ সালে কেন্দ্রকে তারা এই নিয়ে চিঠি দিয়েছিল। সেখানে তারা জানিয়েছিল, কোনও আসন একজন নেতার জন্য বরাদ্দ করতে হবে। তিনি অন্য কোনও আসনে লড়তে পারবেন না। কিন্তু তাদের এই প্রস্তাব গেলেও অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি আর কিছু এগোয়নি। সব শুনে সুপ্রিম কোর্ট এই ব্যাপারে কেন্দ্রের থেকে জবাব চেয়েছে। ২ সপ্তাহের মধ্যে কেন্দ্রের এজিকে সরকারের অবস্থানের কথা জানাতে হবে।
[জম্মু ও কাশ্মীরে সেনার বড় সাফল্য, খতম ৫ জঙ্গি]
টিএস কৃষ্ণমূর্তি যখন নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তখন এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের এই ঐতিহাসিক পর্যবেক্ষণের প্রেক্ষিতে প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার সাধুবাদ জানান। তিনি জানান, এটা হলে সাধারণ মানুষের অর্থ সাশ্রয়ের পাশাপাশি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অশান্তিও কমবে। সাধারণত উপ নির্বাচনে কম ভোট পড়ে। সেই নিরিখে বলা যায় ভোটাররাও একই আসনের জন্য দুবার ভোট দিতে বিরক্ত হন। সুপ্রিম কোর্টের এই পর্যবেক্ষণ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলি মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সমাজবাদী পার্টির মুখপাত্র জানান এটি সঠিক পরিকল্পনা। শীর্ষ আদালতের পর্যবক্ষেণকে স্বাগত জানিয়েছে আরজেডি।
[ফের বেজিংয়ের ‘দাদাগিরি’, কনকন ঠাণ্ডাতেও ডোকলামে স্থায়ী সেনাঘাঁটি চিনা ড্রাগনের]
গত লোকসভা ভোটে স্বয়ং নরেন্দ্র মোদি বারাণসী এবং বদোদরা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বদোদরা কেন্দ্র তিনি ছেড়ে দেন। স্বাভাবিকভাবে এই আসনে ফের ভোট নেওয়া হয়েছিল। শুধু মোদি নন, দেশের বেশ কিছু রাজনীতিক অনেক সময় দুটি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নির্বাচনী বিশেষজ্ঞদের ধারণা এই নিয়ে কমিশনের নিয়ম কিছু বদল হলে এবং কেন্দ্রের মনোভাব বদলালে সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্য সফল হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.