সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁকে একপ্রকার ‘বঞ্চিত’ করেছে বিজেপি। নিজেরা বেশি আসন পাওয়ায় মারাঠাভূমের মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি থেকে একনাথ শিণ্ডেকে সরিয়ে সেখানে বসে গিয়েছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। সেই সময় থেকে মহারাষ্ট্রের শাসক জোট মহাজুটির ভাঙন নিয়ে জল্পনা চলছেই। এবার জানা গেল, শিণ্ডে-সেনার শিবিরের ২০ জন বিধায়কের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা নাকি তুলে নেওয়া হয়েছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সূত্রের দাবি তেমনই। যদিও এও জানা যাচ্ছে, বিজেপি ও অজিত পওয়ারের এনসিপি শিবিরের কয়েকজন বিধায়কেরও নাকি নিরাপত্তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তা সংখ্যায় শিণ্ডে শিবিরের বিধায়কদের থেকে অনেক কম!
কেন হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত? শোনা যাচ্ছে, রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার রুখতেই এমন পদক্ষেপ। সূত্রের দাবি, মন্ত্রী না হওয়া সত্ত্বেও ওই বিধায়কদের ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। এঁরা সেনার উদ্ধব শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন শিণ্ডের সঙ্গে। যার ফলে মহা বিকাশ আঘাড়ি সরকারের পতনও হয়। এবার পরিস্থিতি বদলে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ করা হল।
কারণ যাই হোক, একসঙ্গে কুড়িজন বিধায়কের ক্ষেত্রে এমন পদক্ষেপ যে বিজেপি ও শিণ্ডে-সেনার মধ্যে আরও ফাটল ধরাবে তাতে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল। স্বাভাবিক ভাবেই এমন পরিস্থিতিতে খোঁচা দেওয়ার সুযোগ ছাড়তে রাজি নয় উদ্ধবের দল। ওই দলের সাংসদ প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর খোঁচা, ”মহাজুটি আসলে ভ্যালেন্টাইন মাস উদযাপন করছে।”
উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার নিয়ে দেবেন্দ্র ফড়ণবিস ও একনাথ শিণ্ডের টানাপোড়েন নিয়ে গত বছরের শেষার্ধে ‘নাটক’ জমেছিল। শোনা যাচ্ছিল মসনদ ছাড়তে খুব একটা রাজি ছিলেন না শিণ্ডে। যদিও ফড়ণবিসের দাবি ছিল, নির্বাচনে জেতার পর মহাজুটির প্রথম বৈঠকেই শিণ্ডে মেনে নেন বিজেপি থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাবটি। কিন্তু শিব সেনার একাংশ দাবি করতে থাকেন, তাঁদের দল থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হোন কেউ। তাঁর কথায়, ”শিণ্ডের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বেশ ভালো। আমি ওঁর সঙ্গে দেখা করার পরই উনি উপমুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।” এমনকী তাঁর আরও দাবি, শিব সেনার অনেক নেতাই চেয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র দপ্তর হাতে পেতে। কিন্তু শিণ্ডে নিজে এমন কোনও দাবি করেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.