Advertisement
Advertisement
Shantanu Sen

সংসদে কাগজ ছিঁড়ে বিপাকে Santanu Sen, চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড তৃণমূল সাংসদ

কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাত থেকে কাগজ ছিনিয়ে ছিড়ে ফেলেছিলেন শান্তনু।

Shantanu Sen suspended from Rajya Sabha for the rest of the Monsoon Session | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:July 23, 2021 11:45 am
  • Updated:July 23, 2021 3:55 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় (Rajya Sabha) কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর (Ashwini Vaishnaw) হাত থেকে বক্তৃতার কাগজ ছিনিয়ে ‌নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন তৃণমূল (TMC) সাংসদ শান্তনু সেন (Shantanu Sen)। শুক্রবার রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু (Venkaiah Naidu) জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলের সাংসদকে এই অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিনের অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই চেয়ারম্যান জানিয়ে দেন, ১২টা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি রাখা হল।

[আরও পডুন: Pegasus কাণ্ড: আরও দীর্ঘ তালিকা, অনিল আম্বানি-অলোক বর্মার ফোনেও আড়ি পাতার অভিযোগ]

বৃহস্পতিবার সংসদের বাদল অধিবেশনের তৃতীয় দিনও অব্যাহত ছিল পেগাসাস বিতর্ক।  সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন যখন অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাতের কাগজ টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলেন। পরে তিনি সেটি ডেপুটি চেয়ারম্যান হরিবংশ নারায়ণ সিংহের আসনের দিকে ছুঁড়ে দেন। শান্তনুকে সমর্থন করে আরজেডি সাংসদ মনোজ ঝা বলেন, ‘‘বিরোধীদের প্রতিবাদ সত্ত্বেও যেভাবে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী তাঁর বিবৃতি পড়ে শোনাচ্ছিলেন তা দেখে মনে হচ্ছিল সরকার এই ইস্যুটিকে নিয়ে উপহাসই করতে চায়।’’ যদিও এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে দেখা যায় বিজেপি সাংসদদের। আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীর সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় শান্তনুর। পরে মার্শালের সাহায্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। 

উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সেদিনের মতো মুলতুবি করা হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। এদিন অধিবেশন শুরু হতেই শান্তনু সেনকে সাসপেন্ড করা হল। এই সিদ্ধান্তকে পালটা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের আরেক সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। অশ্বিণী বৈষ্ণো আর হরদীপ সিং পুরীর বিরুদ্ধে পালটা স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

সংসদের বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই পেগাসাস বিতর্ক ক্রমশ জোরদার হয়ে ওঠে। তৃণমূলের পাশাপাশি কংগ্রেস-সহ অন্য বিরোধী দলগুলিও এই ইস্যুতে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়। বৃহস্পতিবারও সংসদের দুই কক্ষেই বিক্ষোভ দেখান বিরোধী সাংসদরা। তবে সবচেয়ে নাটকীয় মুহূর্ত তৈরি হয়েছিল শান্তনু সেনের ঘটনাকে ঘিরেই। বিজেপির রাজ্যসভার নেতা পীযূষ গোয়েল, ডেপুটি লিডার মুক্তার আব্বাস নাকভি এবং ভি মুলরিধরনরা রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে দেখা করে গোটা বাদল অধিবেশনের জন্য শান্তুকে সাসপেন্ড করার দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে সেই দাবিতেই সম্মত হলেন চেয়ারম্যান। সুখেন্দুশেখর রায়ের অভিযোগ, ‘বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে সরকার।’

[আরও পডুন: কৃষকদের ‘গুন্ডা’ বলে মন্তব্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মীনাক্ষী লেখির, বিতর্কের মুখে চাইলেন ক্ষমা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ