Advertisement
Advertisement
Sheikh Hasina

‘২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি’, দিল্লি থেকে হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন হাসিনা

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা।

sheikh hasina reveals assassination plot after ouster from bangladesh

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:January 18, 2025 11:22 am
  • Updated:January 18, 2025 11:36 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০ থেকে ২৫ মিনিট। মাত্র ওইটুকু সময়ের ব্যবধানে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসেন শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা। ‘গণ অভ্যুত্থানে’ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁদের দুজনকেই হত্যা করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল বাংলাদেশে! দিল্লিতে বসে এক অডিও বার্তায় হত্যার সেই ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন মুজিবকন্যা। তাঁর এই বার্তা শেয়ার করা হয়েছে আওয়ামি লিগের ফেসবুক পেজ থেকে।  

গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন হাসিনা। বোন রেহানাকে নিয়ে তড়িঘড়ি চলে আসেন ভারতে। দেশ ছাড়ার পর থেকে দিল্লিতে বসেই একাধিকবার বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে হাসিনাকে। এবার রেহানা-সহ তাঁকে খুনের ষড়যন্ত্র ফাঁস করলেন তিনি। অডিওটিতে মুজিবকন্যাকে বলতে শোনা যায়, “মাত্র ২০-২৫ মিনিটের ব্যবধানে আমি আর আমার বোন রেহানা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসি। না হলে ওরা আমাদের হত্যা করত। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আমার উপর গ্রেনেড হামলা হয়। কিন্তু আল্লা আমাকে রক্ষা করেন। আমার হয়তো অনেক কিছু করার বাকি ছিল তাই আমি ফিরে আসি। এরপর কোটালিপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণের ছক কষা হয়েছিল। সেখান থেকেও আমি বেঁচে ফিরি। তারপর আমাকে মেরে ফেলার বহু চক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু আল্লার দয়ায় আজ আমি জীবিত। কিন্তু দেশে আমের বাড়ি-ঘর সব পুড়িয়ে দিয়েছে ওরা।” নিজের হারহিম অভিজ্ঞতার কথা বলতে বলতে কেঁদে ফেলেন হাসিনা।

Advertisement

উল্লেখ্য, গত বছরে জুলাই মাসে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে বাংলাদেশ। আন্দোলনে নামে ছাত্ররা। প্রাণ ঝরে অন্তত ৬০০ জনের। এই ছাত্র আন্দোলনকে হাতিয়ার করেই ছক কষা হয়েছিল হাসিনাকে গদিচ্যুত করার। অনেক রিপোর্টেই দাবি করা হয়, পাকপন্থী জামাত উসকানি দিয়েছে আন্দোলনে। পাশাপাশি কলকাঠি নেড়েছে আমেরিকা, চিন। তবে ৫ আগস্ট শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত ইস্তফা দিতে রাজি ছিলেন না হাসিনা। একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন মাত্র ৪৫ মিনিটের নোটিসেই নাকি বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হন মুজিবকন্যা। জাতির উদ্দেশে ‘শেষ বার্তা’ দেওয়ার অনুমতি পর্যন্ত তাঁকে দেয়নি ফৌজ। কারণ ততক্ষণে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবনে’র দিকে রওনা দিয়েছে উন্মত্ত জনতা। যাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা সেনাবাহিনীর পক্ষে সম্ভব ছিল না। কার্যত প্রাণ বাঁচাতে সেদিন বোনকে নিয়ে দেশ ছাড়েন হাসিনা।

এই মুহূর্তে মুজিবকন্যার প্রত্যর্পন নিয়েই দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে টানাপড়েন তুঙ্গে। কারণ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি গণহত্যার মামলা-সহ শতাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। জারি করা হয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও। তাই মুজিবকন্যাকে ফেরত চেয়ে দিল্লিকে চিঠি পাঠায় মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকার। যার কোনও উত্তর দিতে চায়নি বিদেশ মন্ত্রক। পরে হাসিনার ভিসা বাতিল করে দেয় ঢাকা। কিন্তু তাঁর দিল্লিতে থাকার মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় ভারত। এনিয়ে দুদেশের মধ্যে সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement